ইসরায়েলের দুই কট্টর ডানপন্থি নেতা এবং মন্ত্রী ইতামার বেন-গিভর এবং বেজালের স্মোতরিচের ওপর যৌথভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে এবং যুক্তরাজ্য। পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহিংসতায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে এ পদক্ষেপ নিয়েছে চার দেশ।
ইসরায়েলের বর্তমান যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভায় জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন ইতামার বেন গিভর এবং অর্থমন্ত্রীর পদে আছেন বেজালেল স্মোতরিচ। মঙ্গলবার কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, নরওয়ে ও আরও একটি দেশের পক্ষ থেকে দেওয়া যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়— এই দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে পশ্চিম তীর অঞ্চলে সহিংসতা উসকে দেওয়া এবং ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তারা প্রকাশ্যে ফিলিস্তিনিদের জোর করে উচ্ছেদ করে সেখানে নতুন ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকে সমর্থন জানিয়ে আসছেন, যা ভয়ংকর, অগ্রহণযোগ্য ও অত্যন্ত বিপজ্জনক।
“শুধু তা-ই নয়। পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ এবং নতুন আবাসন তৈরির প্রক্রিয়ায় ইসরায়েলের সরকারকে এই দু’জন ব্যাপকভাবে যুক্ত করেছেন। পাশাপাশি সহিংসতায় সংশ্লিষ্টদের উৎসাহিত করা এবং দায়মুক্তির জন্যও কাজ করছেন তারা।”
ইসরায়েলকে পশ্চিম তীর অঞ্চলে আন্তর্জাতিক আইনগত বাধ্যবাধকতা মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে এই ৫ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের স্বাক্ষরিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা পশ্চিম তীরে যাবতীয় উগ্রপন্থা, সংহিসতা ও সাম্প্রদায়িতক সহিংসতার অবসান চাই।”
“আর আমাদের আজকের এই বিবৃতিতে পশ্চিম তীরকে ফোকাস করা হলেও আমরা কিন্তু গাজা’র বিপর্যয়ের বিষয়টি ভুলে যাইনি। গাজায় গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে যে ভয়াবহ অভিযান চলছে, তাতে এই দুই মন্ত্রি সরাসরি সংশ্লিষ্ট এবং ইসরায়েল যদি গাজার ফিলিস্তিনিদের অবৈধভাবে পশ্চিম তীরে স্থানান্তর করে গাজা দখল করতে চায়— আমরা তা কখনও মেনে নেব না।”
পিএ/টিকে