খুলনায় চাহিদার তুলনায় কোরবানির পশুর যোগান বেশি

ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র দুই সপ্তাহের মতো। এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে ঈদের কেনাকাটা। এই ঈদে সবচেয়ে বেশি চাহিদা হলো কোরবানির পশু। ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে কোরবানিরপশুর হাট বসানো ও বেচাকেনার প্রস্তুতির কাজ।

এ বছর খুলনা বিভাগে চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত সোয়া এক লাখ কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। তাই এবারের ঈদে এই বিভাগে কোরবানির পশু সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই। এমনকি চাহিদার তুলনায় জোগান বেশি হওয়ায় এবার কোরবানির পশুর দামও কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

খুলনা বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, আসন্ন ঈদুল আজহায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় প্রায় ছয় লাখ পশু কোরবানির সম্ভাবনা রয়েছে। বিপরীতে খামারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে ৭ লাখ ৩১ হাজার ৮৪৪টি কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। ফলে এ অঞ্চলের চাহিদা মিটিয়ে আরো ১ লাখ ২৫ হাজার পশু দেশের অন্য বিভাগে সরবরাহ করা হবে। খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় মোট ১ লাখ ৩৯ হাজার ৫৩৯ জন খামারি রয়েছেন।

জানা যায়, খুলনার তেরখাদা, ফুলতলা, রূপসা, দিঘলিয়া ও ডুমুরিয়া উপজেলা, নড়াইলের কালিয়া ও যশোরের অভয়নগর, মনিরামপুরে খামারের সংখ্যা বেশি।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের সূত্র মতে, ৭ লাখ ৩১ হাজার ৮৪৪টি কোরবানিযোগ্য পশুর মধ্যে ষাঁড় ২ লাখ ৮০ হাজার ৪৮টি, বলদ ৩১ হাজার ১৫০টি, গাভি (বাচ্চা উত্পাদনে অক্ষম) ৩৩ হাজার ৩৭৯টি, মহিষ ১৯ হাজার ৩৩টি, ছাগল ৩ লাখ ৭৫ হাজার ২৭০টি ও ভেড়া ৯ হাজার ৪৪৩টি। অন্যান্য গবাদি পশু আছে ৬২১টি।

জানা গেছে, ইতোমধ্যে গ্রামে গ্রামে ঘুরে পশু কেনা শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। আসন্ন ঈদ কেন্দ্র করে কোরবানির জন্য এখন থেকেই গরু কিনে মজুদ শুরু করেছেন তারা। কোরবানিতে গরু বাজারজাত করে ভালো আয় করতে পারেন তাই এখনই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে গোখাদ্যের দাম বাড়ায় পশু লালন-পালনে এবার খরচ আগের তুলনায় বেড়ে গেছে।

এবার ভালো দাম পাবার প্রত্যাশা করে এক খামারি বলেন, কোরবানিকে সামনে রেখে বিদেশি বিভিন্ন জাতের সাতটি গরু লালন-পালন করেছি। মানভেদে প্রতিটি গরুর দাম ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হবে।

খুলনা বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাসুদ আহমেদ খান বলেন, খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় চাহিদা অনুযায়ী খামারগুলোয় পর্যাপ্ত সংখ্যক পশু আছে। অভ্যন্তরীণ উৎপাদিত পশু দিয়েই কোরবানির পশুর চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। এতে স্থানীয় খামারি লাভবান হবেন।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: