গণিত শাস্ত্রের আদিপুরুষ পিথাগোরাস (খ্রিস্টপূর্ব ৫৮০-৫০০)। তিনি অধিবিদ্যা, নীতিশাস্ত্র, সংগীত, ধর্ম, রাজনীতি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আগ্রহী ছিলেন। হিরোডটাস, আইসোক্রেটস, এবং আরও অনেক প্রাচীন লেখকরা একমত যে, পিথাগোরাস এজিয়ান সাগরের পূর্ব উপকূল অর্থাৎ বর্তমান তুরস্কের কাছাকাছি অবস্থিত সামোস দ্বীপে জন্মগ্রহণ করেন।
ছোটবেলা থেকেই বিদ্যানুরাগী ছিলেন পিথাগোরাস। তিনি মনে করতেন, কোনো একজন গুরুর কাছে জ্ঞান সম্পূর্ণ হয় না, পুরো বিশ্বই জ্ঞানের ভাণ্ডার। তাই সামোস শহরে শিক্ষার পাট চুকিয়ে বের হন দেশভ্রমণে।
তখন মিসর ছিল জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার কেন্দ্রস্থল। তাই মিসর চলে যান। সেখানে পড়াশোনা করেন গণিত ও জ্যোতির্বিজ্ঞানে।
ধারণা করা হয়, মিসরের বড় বড় পিরামিড দেখেই তাঁর মাথায় জ্যামিতির একটি ভাবনা আসে। আবিষ্কার করেন তাঁর বিখ্যাত উপপাদ্য (সমকোণী ত্রিভুজের অতিভুজের ওপর অঙ্কিত বর্গ ওই ত্রিভুজের অপর দুই বাহুর ওপর বর্গের যোগফলের সমান)।
এ ছাড়া তিনি সংখ্যা নিয়েও কাজ করেন। সংগীতের সঙ্গে তাল ও লয়ের যে ঐক্য—তা পিথাগোরাসেরই আবিষ্কার।
তিনিই প্রথম বলেন, পৃথিবী গোলাকার এবং গ্রহ-নক্ষত্রগুলো এই পৃথিবীর চারদিকে আবর্তন করছে।
তার একটি উক্তি হলো-
“আমাদের জীবন আমাদের
ইচ্ছার উপর নয়, আমাদের
কর্মের উপর দণ্ডায়মান।”