ইউক্রেনজুড়ে রাতভর ব্যাপক হামলা চালিয়েছে রাশিয়ান বাহিনী। দেশটি ইউক্রেনে ৩৫২টি ড্রোন ও ১৬টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এতে রাজধানী কিয়েভ ও তার আশপাশের এলাকায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই তথ্য নিশ্চিত করেন। জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে বলেন, ১৫৯টি ইরানি ডিজাইনের শাহেদ ড্রোনসহ ৩৫২টি ড্রোন ছুড়েছে রাশিয়া। এ ছাড়া ১৬টি ক্ষেপণাস্ত্রও ছোড়া হয়েছে। প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানা গেছে, উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক অস্ত্রও ব্যবহার করা হয়েছে।
জেলেনস্কি পোস্টে বলেন, “আমাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হামলার মুখে পরাজিত হয়নি। আমরা প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছি।” তবে এই হামলায় শহরের বিভিন্ন অংশে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে বিগত কয়েক মাস ধরেই ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে রাশিয়ার সঙ্গে সংঘর্ষ বৃদ্ধি পেয়েছে। রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে ইউক্রেনের সামরিক লক্ষ্যবস্তু ও নাগরিক এলাকায় হামলা চালিয়ে আসছে। তবে সাম্প্রতিক এই হামলা বিশেষভাবে মারাত্মক হিসেবে ধরা হচ্ছে, কারণ এতে খুব কম সময়ের মধ্যে একসঙ্গে এত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। যা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়নি।
বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া ইরান ও উত্তর কোরিয়ার সামরিক সহযোগিতায় আধুনিক ও শক্তিশালী অস্ত্রসম্ভার ব্যবহার করছে, যা ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলছে। আন্তর্জাতিক মহল এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের সাধারণ জনগণ ও প্রশাসন উদ্বিগ্ন, তবে তারা স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বজায় রাখতে চেষ্টা করছে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। এই হামলার প্রেক্ষিতে ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরআর/টিকে