হিজরি নববর্ষের প্রথম জুমায় যা বললেন মসজিদুল হারামের খতিব

মানুষের জীবন প্রতিটি মুহূর্ত আল্লাহর নিয়ামত ও অনুগ্রহে পরিপূর্ণ। শ্বাস-প্রশ্বাস, সুস্থতা, নিরাপত্তা ও শান্তি—সবই একেকটি নেয়ামত। এগুলোকে অবহেলা করলে তা হারিয়ে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন মসজিদুল হারামের খতিব শায়খ ড. সালেহ আল ইমাইদ।

হিজরি ১৪৪৭ সনের প্রথম জুমার খুতবায় এসব বলেন তিনি। জুমার খুতবায় তিনি বলেন, আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ ততক্ষণ কোনো জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেদের অবস্থার পরিবর্তন ঘটায়। (সূরা আর-রাদ)

শায়খ আল ইমাইদ বলেন, অতীতের দিকে তাকিয়ে অন্যের বিপদ ও কষ্ট—রোগ, দারিদ্র্য, ভীতি থেকে শিক্ষা নিতে হবে। নিয়ামতের প্রতি কৃতজ্ঞ না হলে, তা দূরে সরে যেতে পারে। কৃতজ্ঞতা শুধু মুখে বলার বিষয় নয়; বরং অন্তরের বিশ্বাস, জবানের শোকর এবং আমলের মাধ্যমে তা প্রকাশ করতে হয়।

শায়খ বলেন, তোমাদের পিতা ইব্রাহিম (আ.)-এর দ্বীনে বিশ্বাস করো। আল্লাহ কোরআনে এই উম্মাহর নাম দিয়েছেন ‘মুসলিম’। এই পরিচয়ের প্রতিই হতে হবে সবচেয়ে বেশি কৃতজ্ঞ।
তিনি আরও বলেন, কৃতজ্ঞতা মানে তওবা করা, আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া, তার নিয়ামতের সঠিক ব্যবহার করা এবং কখনোই অহংকার না করা।

শায়খ ইমাইদ বলেন, কৃতজ্ঞ মানুষের হৃদয় শান্তিতে থাকে। একটি কৃতজ্ঞ পরিবারে থাকে সুখ ও নিরাপত্তা।
তিনি রাসূলুল্লাহ সা.-এর বাণী স্মরণ করিয়ে বলেন, তোমরা তাদের দিকে তাকাও, যারা তোমাদের চেয়ে কম সৌভাগ্যবান; তাদের দিকে নয়, যারা বেশি পেয়েছে। এতে করে তোমরা আল্লাহর নিয়ামতের অবমূল্যায়ন করবে না। (বুখারি ও মুসলিম)

শায়খ সবাইকে দোয়া ও ইবাদতে অনড় থাকার পরামর্শ দেন এবং বলেন, মহররম মাস রোজার জন্য বরকতময় মাস। রাসূলুল্লাহ সা. রমজানের পর এই মাসেই সবচেয়ে বেশি রোজা রাখতেন।

সূত্র : ইনসাইড দ্য হারামাইন

পিএ/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
নির্বাচন যারা বানচাল করার চেষ্টা করছে তারা সচিবালয়ে অবস্থান করছে: ফারুক Sep 15, 2025
img
চ্যাম্পিয়ন হয়েও মূল পর্বে খেলছে না ঋতুপর্ণা-মনিকাদের রাঙামাটি Sep 15, 2025
img
সেমন্তী সৌমির পছন্দ দেশি ছেলে! Sep 15, 2025
img
চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠায় একযোগে কাজ করতে হবে : চসিক মেয়র Sep 15, 2025
img
রাজপথ নয়, এখন সময় জনগণের মালিকানা বুঝিয়ে দেওয়ার : আমীর খসরু Sep 15, 2025
img
শৈশবে ভোরে ফুল বিক্রি করে ইডলি কিনতেন ধানুশ Sep 15, 2025
img
যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি পাওয়া দুই ডিসি প্রত্যাহার Sep 15, 2025
img
২ কোটি ২৮ লাখ টাকার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছি : তনুশ্রী দত্ত Sep 15, 2025
নায়িকা মানেই প্রতিদ্বন্দ্বী? আনুশকা-প্রিয়াঙ্কার দ্বন্দ্ব ফের সামনে এলো | Sep 15, 2025
img
বাংলাদেশ ম্যাচের আগে আফগানিস্তান দলের জন্য দুঃসংবাদ Sep 15, 2025
img
বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনারের বৈঠক Sep 15, 2025
img
চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন : দ্বিতীয় দিনে মনোনয়ন নিলেন ১৪১ জন Sep 15, 2025
img
ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট বানানোর সহযোগীদের নাম প্রকাশ করলেন মাহমুদুর রহমান Sep 15, 2025
নেপালের নোবেল-বঞ্চিত হওয়ার কারণ বললেন শাওন! Sep 15, 2025
img
দেশ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে : আবুল খায়ের ভূঁইয়া Sep 15, 2025
পিআরের দাবিতে একইদিনে মাঠে নামছে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন! Sep 15, 2025
জকসুর দাবি শিবিরের, কাল থেকে কর্মসূচি ! Sep 15, 2025
img
শুল্কের চাপে বাণিজ্যে ধস, দিল্লিতে যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের বৈঠক Sep 15, 2025
ভারতীয় শুল্কনীতিতে কড়া বার্তা দিল যুক্তরাষ্ট্র! Sep 15, 2025
img
'গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে দল-মতের ঊর্ধ্বে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে' Sep 15, 2025