আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ ও ভারতের পুলিশ বাহিনী একে অন্যকে সহযোগিতা করবে। একইভাবে মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধেও উভয় দেশ যৌথভাবে কাজ করবে।
বুধবার বাংলাদেশ ও ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে সপ্তম দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে বাংলাদেশের পক্ষে এক প্রেস বিবৃতিতে এই কথা জানানো হয়েছে।
দ্বিপক্ষীয় এই বৈঠকে ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
বৈঠকের শুরুতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ভারতের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন। এ বৈঠকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার নাগরিকদেরকে নিরাপদে ও দ্রুত স্বদেশ প্রত্যাবাসনে সহযোগিতার আশ্বাস দেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সভা শেষে অমিত শাহকে বাংলাদেশ ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানান আসাদুজ্জামান খান।
সপ্তম দ্বিপক্ষীয় এ বৈঠকে যেসব বিষয় প্রাধান্য পেয়েছে সেগুলোর মধ্যে ছিল- স্থল সীমান্ত চুক্তি ও তার প্রটোকল বাস্তবায়নের পর্যালোচনা। এরই পাশাপাশি পর্যালোচিত হয় জঙ্গিবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদ দমনে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো। এছাড়া সামুদ্রিক নিরাপত্তার বিষয়টি এবার প্রথম আলোচনায় যুক্ত হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দু’দেশই মনে করে নিরাপত্তা ও সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় দু’দেশই দিনে দিনে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে এবং করবে।
বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে আসামের এনআরসি প্রসঙ্গ তোলা হবে বলে ভারতীয় কিছু সংবাদপত্রে খবর বেরিয়েছিল। তবে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে যে প্রেস বিবৃতি দেয়া হয়েছে, তাতে অবশ্য এই প্রসঙ্গের কোনো উল্লেখ নেই।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয় দফার শাসনামলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অমিত শাহ। একই সঙ্গে তিনি শাসক দলের সর্বভারতীয় সভাপতির দায়িত্বও পালন করছেন। তার সঙ্গে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের এটাই প্রথম বৈঠক।
টাইমস/জিএস