হার্ডিঞ্জ ব্রিজের গার্ডারের ধাক্কায় আহত আরেক জনের মৃত্যু, তদন্ত কমিটি গঠন

হার্ডিঞ্জ ব্রিজের গার্ডারে ধাক্কা লেগে আহত আরেক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তবে তাঁর নাম পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।

এদিকে, এ দুর্ঘটনায় ৫ সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাকশী রেলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা ডিটিও আবদুল্লাহ আল মামুন।

আরো পড়ুন: 

ঈশ্বরদীতে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের গার্ডারের ধাক্কায় প্রাণ গেল ২ ট্রেনযাত্রীর

এর আগে শুক্রবার ভোরে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী এলাকায় হার্ডিঞ্জ ব্রিজের গার্ডারে ধাক্কায় ট্রেনের ছাদে থাকা দুই যাত্রী নিহত হয়েছিলেন। নিহতরা হলেন- বগুড়ার শৈলগাড়ি গ্রামের হফিজার রহমানের ছেলে হাকিম (১৭) ও শিবগঞ্জের জালাদুদ্দিনের ছেলে রবিউল (২০)। এছাড়াওেএ ঘটনায় আহত হয়েছিলেন আরও সাতজন। পরে তাদের উদ্ধার করে পাকশি, কুষ্টিয়া ও ভোরামারার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরেকজনের মৃত্যু হয়।

পাকশী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম শহিদ জানান, ভোরে আন্তঃনগর চিত্রাই এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা থেকে খুলনায় যাচ্ছিল। পাকশি ও ভেড়ামাড়া সংযোগ হার্ডিঞ্জ ব্রিজের গার্ডারের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টানা তিন দিনের ছুটির কারণে ঢাকা থেকে বাড়ি আসছিলেন মানুষ। ট্রেনের ভেতরে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। তাই শীতের মধ্যেও বহু যাত্রী ট্রেনের ছাদে ওঠে যাত্রা শুরু করেন। শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে ট্রেনটি হার্ডিঞ্জ ব্রিজে উঠলে ছাদে থাকা যাত্রীরা দুর্ঘটনায় পড়েন। একে একে রক্তাক্ত জখম হয়ে নিচে পড়তে থাকেন যাত্রীরা। কেউ আহত হয়ে পদ্মা নদীতে, কেউ পদ্মার চরে, কেউ বা ঝুলতে থাকেন ব্রিজের ওপরে।

ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, ঝিনাইদহ জেলার ইমরান হোসেন (৩০), যশোর জেলার আবদুল্লাহ (২৮), শৈলকুপার নাজমুল ইসলাম (২৫), দৌলতপুর উপজেলার ফজলুল ইসলাম ফজো (২২), খুলনা জেলার মহিবুল্লাহ, ইব্রাহিম হোসেন হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন। পরে তাদের মধ্যে ৫ জনকে গুরুতর অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

টাইমস/ কেআরএস

Share this news on: