চীনের ঐতিহ্যিক আর সংস্কৃতির কথা বলতে গেলে সে দেশের একজন বিখ্যাত ব্যক্তির কথা অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে, তিনি হলেন কনফুসিয়াস। কনফুসিয়াস জন্মেছিলেন প্রাচীন চীনের লু নামক ক্ষুদ্র রাজ্যে (বর্তমানে শ্যানডং প্রদেশের অন্তর্গত) আনুমানিক ৫৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে।
তিনি ছিলেন একজন বিশিষ্ট চীনা দার্শনিক, যার মতবাদ ও দর্শন পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার চীন, জাপান, কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, লাওস, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনামের মতো দেশের সামাজিক জীবন, কর্ম-পেশা, নৈতিকতা ও আদর্শকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছিল।
গত শতাব্দীর সওর দশকে যুক্তরাষ্ট্রের একজন পণ্ডিত মানব জাতির ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব-বিস্তারকারী একশ জন বিখ্যাত ব্যক্তির নাম উল্লেখ করার সময় চীনের কনফুসিয়াসকে পঞ্চম স্থান দিয়েছেন।
এ কথা বলা যায়, প্রত্যেক চীনার গায়ে কনফুসিয়াসের কম-বেশি প্রভাব আছে ।
কনফুসিয়াস হলেন চীনের কনফুসিয়ান তত্ত্বের প্রতিষ্ঠাতা। দু হাজার বছর ধরে চীনে কনফুসিয়ান তত্ত্বের প্রভাব শুধু রাজনীতি ও সংস্কৃতি প্রভৃতি ক্ষেত্রে নয়, চীনাদের চিন্তাধারা ও আচার-আচরণেও আছে।
কোনো কোনো বিদেশি পণ্ডিত কনফুসিয়ান তত্ত্বকে চীনের ধর্মীয় চিন্তাধারা মনে করেন। আসলে কনফুসিয়ান তত্ত্ব প্রাচীন চীনের মতবাদগুলোর অন্যতম মাত্র। এই তত্ত্ব ধর্ম নয়, এক ধরনের দার্শনিক চিন্তাধারা।
চীনে দু’হাজার স্থায়ী সামন্ততান্ত্রিক সমাজে কনফুসিয়াসের চিন্তাধারাকে যথেষ্ট মর্যাদা দেয়া হয়। খৃষ্টপূর্ব ৪৭৯ সালে কনফুসিয়াসের মৃত্যু হয় ।
তাঁর একটি উক্তি হলো-
“যদি ভুল কর, তবে তা
সংশোধনের জন্য বিলম্ব বা
লজ্জাবোধ করো না।”