বয়স যখন ১২, তখন রাস্তার বখাটে ছেলেদের হাতে তাকে একবার মার খেতে হয়েছিল। এ ঘটনাটিই হয়তো তার জীবন পালটে দেয়। এরপরই তিনি মার্শাল আর্টে ঝুঁকে পড়েন। পরবর্তীকালে চলচ্চিত্রেও মার্শাল আর্টকে ব্যবহার করা হয় তারই হাত ধরে। তিনি ব্রুস লি। একই সঙ্গে মার্শাল আর্ট শিল্পী, শিক্ষক, চিত্রনাট্যকার ও অভিনেতা।
কিংবদন্তি মার্শাল আর্টিস্ট ব্রুস লি, ১৯৪০ সালের ২৭ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকোর চায়না টাউনে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা লি হো-চুং ছিলেন ক্যান্টনিজ অপেরা ও চলচ্চিত্র তারকা এবং মা গ্রেস হো।
বাবার হাত ধরেই ব্রুস লি চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন। ৩২টি চলচ্চিত্র এবং অনেক ডকুমেন্টারি ও টেলিভিশন অনুষ্ঠানে তাকে দেখা গেছে। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য পাঁচটি চলচ্চিত্র হল- দ্য বিগ বস (১৯৭১), ফিস্ট অব ফিউরি (১৯৭২), ওয়ে অব ড্রাগন (১৯৭২), এন্টার দ্য ড্রাগন (১৯৭২) এবং দ্য গেম অব ডেথ (১৯৭৩)।
ব্রস লি মার্শাল আর্টের বিভিন্ন কৌশল আয়ত্ত করে দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তিনি বাতাসের চেয়েও বেশি গতিতে ফাইট করতে পারতেন। এত ক্ষীপ্র গতিতে তিনি হাত চালাতেন, যে প্রতিপক্ষ আঘাত প্রতিহত করারও সময় পেত না।
১৯৬২ সালে একটি ফাইটে তিনি মাত্র ১১ সেকেন্ডে তার প্রতিপক্ষকে পরাজিত করেন। এই ১১ সেকেন্ডে তিনি ১৫টি ঘুষি আর একটা কিক মেরেছিলেন তাকে।
১৯৭৩ সালের ২০ জুলাই ব্রুস লি গিয়েছিলেন তার সহ-অভিনেত্রী বেটি টিং পেইর কাউলুন টংয়ের বাড়িতে। সেখানে হঠাৎ মাথাব্যথা শুরু হয় তার। এরপর পেইন কিলার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।
কিন্তু ঘুম থেকে আর জাগছেন না দেখে তাকে কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তাররা তার জ্ঞান ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এর কয়েক ঘণ্টা পর ঘোষণা করা হয় ব্রুস লি মারা গেছেন।
তার একটি উক্তি হলো-
“মূর্খরা শান শওকত দেখানোর মধ্যে গৌরব খুঁজে পায়।”
টাইমস/এসআই