ঈদযাত্রার শেষ দিন মানুষ স্বস্তিতে বাড়িতে গিয়েছে বলে দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঈদে যারা বাড়ি গেছেন, তাদের কর্মস্থলে ফেরা ঈদযাত্রার মতোই স্বস্তিকর হবে।
সোমবার নিজ জেলা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বড় রাজাপুর গ্রামের বাড়ির সামনের মসজিদে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন কাদের। তারপর সেখানে থাকা সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ মাস আগস্ট মাস, শোকের মাস। এ মাস এলেই অন্ধকারে অপশক্তি সোচ্চার হয়ে উঠে। দেশের শান্তি বিঘ্নিত করে। এরা জনগণের শত্রু। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির মূলোৎপাটনই আমাদের আজকের প্রার্থনা। সাম্প্রদায়িক বিষবৃক্ষ উৎপাটনেই আমরা সচেষ্ট।’
তিনি বলেন, মাঝ খানে নদীতে তীব্র স্রোত এবং ভারি বৃষ্টির জন্য চলাচল কিছুটা বিঘ্নিত হয়েছে। এরই মধ্যে সড়কে পশুবাহী গাড়ির জন্যও চলাচলে কোথাও কোথাও সমস্যা হয়েছে। এছাড়া দেশের বেশিরভাগ রুটই ভালোছিল। তবে শুধুমাত্র ঢাকা-টাঙ্গাইল রুটে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপারে নলকা পর্যন্ত সমস্যা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রোববার রাস্তাঘাটে তেমন কোনো যানজট ছিল না। শেষটা যার ভালো, সবই তার ভালো। শেষ পর্যন্ত মানুষ স্বস্তিতে বাড়িতে ফিরেছে। ঈদ শেষে মানুষ একইভাবে কর্মস্থলে ফিরে আসবেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক তাদের দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট রয়েছেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, সচেতনতার মাধ্যমে ডেঙ্গুর ভয়ঙ্কর বিস্তার থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। নিজ নিজ এলাকা, আঙ্গিনা, কর্মস্থল, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এ কার্যক্রম সারা বছরের জন্য চালু রাখতে হবে।
এ সময় অন্যান্যের মাঝে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এমপি, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মন্ত্রী তার বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করেন এবং স্থানীয় মুসল্লি ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
টাইমস/এসআই