চামড়ার সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িতরা রেহাই পাবে না: কাদের

চামড়া নিয়ে ‘সিন্ডিকেটের কারসাজির’ অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সিন্ডিকেটের বিষয়টি নিরপেক্ষভাবে জানা দরকার। সিন্ডিকেটের একটা ব্যাপার আমাদের দেশে আছে। ফায়দা লোটার জন্য একটা মহল সিন্ডিকেট করে। এ ধরনের কিছু হয়েছে কি না, সেটা খোঁজখবর নিয়ে জানাব। যার বিরুদ্ধে অপরাধের প্রমাণ পাওয়া যাবে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেউ রেহাই পাবে না।

বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, তদন্তে যদি ধরা পড়ে যে চামড়ার দাম কমে যাওয়ার পেছনে সিন্ডিকেট কাজ করেছে, তাহলে যে ব্যক্তি যে মাত্রায় এই শিল্পের ক্ষতি করেছে, তার বিরুদ্ধে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঈদের দিন থেকেই সরকারের বেঁধে দেয়া দামে চামড়া কেনা হচ্ছে না বলে অভিযোগ আসতে থাকে। ট্যানারি মালিকরা বকেয়া থাকা টাকা দেননি- এই যুক্তি দেখিয়ে আড়তদাররা চামড়া কেনা বন্ধ রাখলে কাঁচা চামড়া নিয়ে ফড়িয়ারা বিপাকে পড়েন।

বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী মঙ্গলবার অভিযোগ তোলেন- ক্ষমতাসীন দলের ‘সিন্ডিকেটের কারসাজিতে’ কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়ার দাম কমিয়ে ‘পাশের দেশে পাচার’ করা হচ্ছে।

বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঈদের পর মাত্র একদিন সময় গেল, এ সময়ে পুরো বিষয় মূল্যায়ন করা সম্ভব নয়। সব কিছু মিলিয়ে সামগ্রিকভাবে বিষয়টি মূল্যায়ন করতে হবে।

ঢালাও অভিযোগ করা বিএনপির ‘পুরনো অভ্যাস’ মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যদি কোনো সিন্ডিকেটের কারসাজি হয়ে থাকে, যিনি অভিযোগ করেছেন তিনি বলুন, তথ্য প্রমাণসহ বলতে হবে। তারা সব সময় নেতিবাচক বিষয়টাকে আকড়ে ধরে, সরকারের সামান্য কিছু পেলেই সেটাকে নিয়ে তারা ঢালাও বিষোদ্গার করে। এটি বিরোধী দলের ঢালাও বিষোদ্গার কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার।

মৌসুমি ব্যবসায়ীদের সংগ্রহ করা চামড়া যখন নষ্ট হচ্ছে, সরকার এ বিষয়ে কি করছে তা জানতে চান একজন সাংবাদিক।

উত্তরে কাদের বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে অভিযোগগুলো পুরোপুরি খতিয়ে না দেখে কোনো রিমার্কস করা এখনো ঠিক হবে না, আরও দুই চারদিন যাক, এর মাধ্যমে সঠিক চিত্রটি খুঁজে বের করতে পারব।’

সব মিলিয়ে ঈদযাত্রা কেমন ছিল, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘মোটামুটি স্বস্তিদায়ক হয়েছে। তবে কিছু ভুল ছিল। সেই ভুল থেকে আমরা শিক্ষা নেব। এলেঙ্গা থেকে রংপুর মহাসড়ক চার লেন না হওয়া পর্যন্ত এই দুর্ভোগ থাকবে। তবে ক্রমান্বয়ে এই দুর্ভোগ শেষ হবে। আমরা তার জন্য কাজ করছি।’

 

টাইমস/এসআই

Share this news on:

সর্বশেষ