জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ সুশীলতার মোড়কেও আওয়ামী ফ্যাসিবাদী মুজিববাদী মতাদর্শকে বাংলাদেশে আর উচ্চারিত হতে দেবে না।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেল তিনটার দিকে ফরিদপুর জনতা ব্যাংকের মোড়ে এক পথসভায় তিনি এ কথা বলেন। দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা সারাদেশের ৬৪টি জেলা সফর উপলক্ষে ফরিদপুরে এ পথসভার আয়োজন করা হয়।
আখতার হোসেন বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এই আওয়ামী লীগ ও মুজিববাদের রাজনীতি আর দেখতে চায় না। কিন্তু ওই ভারতের সেবাদাস ওই দালাল এবং দোসররা চুপিসারে আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার স্বপ্ন দেখে, বাংলাদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চায়। ওরা বলে আওয়ামী লীগকে ছাড়া নাকি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে না। যে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে।
তিনি বলেন, ১৪-১৮-২৪ (তিনটি জাতীয় নির্বাচন) এর রাতের ভোটে ডামি নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। সেই আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে আর কোনো সুযোগ পেতে পারে না।
আখতার বলেন, আপনারা গোপালগঞ্জে দেখেছেন এনসিপি এবং গণঅভ্যুত্থানের নেতাদের ওপর জঙ্গিবাদের দীক্ষা নিয়ে মরণঘাতী অস্ত্র নিয়ে আক্রমণের চেষ্টা করেছে। তারা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে আমাদের ওপর গুলি বর্ষণ করেছে। কিন্তু গোপালগঞ্জের মাটিতে মুজিববাদ মুর্দাবাদের স্লোগানকে তারা দমিয়ে রাখতে পারে নাই। এই বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ যে গুম খুন নির্যাতন করেছে, সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতারা মানুষের ওপর যে অবর্ণনীয় নির্যাতন করেছে। এক বছর পেরিয়ে গেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনও তাদেরকে যথোপযুক্ত শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে পারে নাই। আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিরাপত্তা এবং দেশকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে হলে দল হিসেবে এবং ব্যক্তি হিসেবে আওয়ামী লীগের সকলকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।
আখতার হোসেন বলেন, সুশীলতার মোড়কে যারা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও মুজিববাদকে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে চান আমরা তাদেরকে হুঁশিয়ার করে দিতে চাই। বাংলাদেশের মানুষ সুশীলতার মোড়কেও আওয়ামী ফ্যাসিবাদী মুজিববাদী মতাদর্শকে বাংলাদেশে আর উচ্চারিত হতে দেবে না। এই বাংলাদেশ সকল দল মত নির্বিশেষে সকল জনগণের হবে।
পদযাত্রায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের বাইরে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক সারজিস আলম। স্লোগান দেন দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী।
টিএ/