বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপি একটি বিশাল রাজনৈতিক দল। এর প্রচুর সমর্থক এবং কয়েক কোটি সমর্থক হবে। এর মধ্যে আমাদের টার্গেট হচ্ছে এক কোটি সমর্থক বাড়াবো সারা বাংলাদেশে। এই টার্গেট দিয়ে আপনাদের ভাগে যেটা পড়ে সেটা আপনাদের করতে হবে। ২০-২৫ হাজার একটি উপজেলার জন্য।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যায় সাভার পৌর এলাকার ব্যাংক কলোনী মহল্লায় মাদরাসা মসজিদ প্রাঙ্গণে বিএনপিতে নতুন সদস্য সংগ্রহ অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
এসময় রিজভী নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, সমাজের মধ্যে যারা ভালো মানুষ, সৎ মানুষ, যাদের কোনো কলঙ্ক নেই। যারা কোনো মব কালচার, হত্যা, ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানি, চাঁদাবাজি, দখলবাজির সঙ্গে সর্ম্পক নেই। এই সমস্ত মানুষ কৃষক হোক, শ্রমিক হোক, বুদ্ধিজীবী হোক এলাকার স্কুলের শিক্ষক হোক কলেজের শিক্ষক হোক কিংবা পোশাক শিল্পের শ্রমিক বা মালিক হোক সবাইকে আপনারা অর্ন্তভুক্ত করবেন। যাদের সমাজের সুনাম আছে, ভালো একটি ভাবমূর্তি আছে। তারাই হবে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য।
বিএনপিতে দুষ্কৃতিকারী প্রশ্রয় না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, বিএনপি একটি বিশাল দল। এই দলে দুই একজন নানা ছিদ্র দিয়ে দুষ্কৃতিকারী ঢুকে যেতে পারে। কিন্তু আমাদের দেখতে হবে এই দুষ্কৃতিকারীকে বিএনপি প্রশ্রয় দেয় কীনা।
তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমানের একটি বৈঠক হলে জনগণের মধ্যে একটি অনিশ্চিয়তা থেকে মানুষ স্বস্তিতে আসলেন। একটি যৌথ বিবৃতি দিলেন, প্রত্যেকের প্রত্যাশা হলো অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচন।
এসময় নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি নিয়ে রিজভী আরও বলেন, আমরা কেউ জানি পিআর কি? বাংলায় সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন। এটা আমি তো ভালো মতো বুঝি না। ইউরোপের কয়েকটি দেশে প্রচলিত রয়েছে এবং জাপানে আছে। কিন্তু মাত্র ৩৭ শতাংশ এটার প্রয়োগ হয়। আর যতটুকু বুঝি তাতে মনে হয়, আমাদের মতো দেশে স্থানীয় নেতা তৈরি হওয়ার আর সুযোগ থাকবে না। যে দলগুলো রাজনৈতিকভাবে একেবারে মাতা-পিতাহীন, যাদের শিকড় নাই তাদের একটু লাভ হতে পারে। এই কারণে তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের পরে এসব বিষয় আনা হলো। নির্বাচন পেছাতে হবে, পিআর দিতে হবে। কই এই কথাগুলো তো আগে বললেন না। এগুলো আমার মনে হয় সম্পূর্ণরুপে বিভ্রান্তি তৈরি করা। জনগণ যে ১৬ বছর ধরে ভোট দিতে পারেনি। অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচন হয়নি। ভোটাররা যে ঘর থেকে বের হতে পারেনি। আওয়ামী লীগের দোসর যারা পুলিশ অফিসার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তারা মাইকিং করে বলেছে, আপনারা ভোট কেন্দ্রে যাবেন না। যে দুর্দিন গেছে শেখ হাসিনার নেতৃতে কোনো মানুষের নিরাপত্তা ছিল না। কোনো মানুষ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারতো না।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) সায়েদুল আলম বাবুল, ঢাকা-১৯ এর সাবেক সংসদ সদস্য ডা. দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, সাভার পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার শাহ মাইনুল হোসেন বিল্টুসহ বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।
টিকে/