জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা বলেছেন, যেই সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা থাকে সর্বময়, সে রাষ্ট্রের বাহিনী ব্যবহার করে নাগরিককে গুম করতে পারে, খুন করতে পারে- ওই সংবিধান আমরা রাখবো না। ওই সংবিধান আমরা বদলাবো। সংবিধান হবে বাংলাদেশের সকল নাগরিকের। সব মানুষের অধিকার রক্ষা করবে। ওই লড়াইয়ে আমরা নেমেছি। এই লড়াইয়ে আপনারা আমাদের সাথে থাকবেন। পথ অনেক লম্বা, কিন্তু চ্যালেঞ্জ অনেক। কিন্তু মানুষ যখন জাগে তখন ইতিহাস বদলায়। আমরা সেই ইতিহাস বদলাতে এসেছি।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে রাজবাড়ী শহরের রেলগেট শহীদ স্মৃতি চত্বরে দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা শেষে পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. তাসনিম জারা বলেন, এখানে অনেকেই আছেন যারা গুলির ভয় না করেই আপনারা রাজপথে নেমে এসেছিলেন গত বছরে। কারোর তোয়াক্কা করেন নাই। পুলিশ মারছে, তারপরও আপনারা সামনে গেছেন। ওদেরকেই আপনারা উল্টো ধাওয়া দিয়েছেন। এই যে আপনারা সাহস নিয়ে নেমেছিলেন, শুধুমাত্র কিন্তু সরকার পরিবর্তনের জন্য না, চেহারা পরিবর্তনের জন্য না। এই ভাঙা দেশটা যাতে জোড়া লাগে, ভাঙা দেশটা যাতে বদলায়, নতুন নতুন দেশ হয়, রাষ্ট্রের নাগরিকের জন্য- সবার যাতে বাংলাদেশ হয়, সরকার যেন সবার জন্য কাজ করে, সেজন্য আপনারা নেমেছিলেন।
তিনি বলেন, আমরা জাতীয় নাগরিক পার্টি মাঠে এজন্যই নেমেছি, যাতে দেশটা সুন্দর হয়, দেশটা যেন সব নাগরিকের হয়। এজন্য যা যা সংস্কার করা প্রয়োজন, যা যা পরিবর্তন করা প্রয়োজন- আমরা সবকিছু করে ছাড়বো।
পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন এনসিপি’র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক ও রাজবাড়ীর সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা খালেদ সাইফুল্লাহ, দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
এসময় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন, এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, ডা. তাজনুভা জাবীন, দক্ষিণ অঞ্চলের সংগঠক মো. আতাউল্লাহসহ কেন্দ্রীয়, বিভাগীয় এবং জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সমাবেশে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহতরা উপস্থিত ছিলেন।
এফপি/টিএ