রাজবাড়ী বিগত ১৫ বছর অপশাসনের মধ্যে ছিল : খালেদ সাইফুল্লাহ

রাজবাড়ী জেলার কৃতি সন্তান ও জাতীয় নাগরিক পার্টির(এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ বলেছেন, রাজবাড়ী বিগত ১৫ বছর অপশাসনের মধ্যে ছিল। আপনাদের যে প্রাণ প্রিয় নেতারা নিজেদের অসীম ত্যাগের মাধ্যমে এই বাংলাদেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করেছে, তারা রাজবাড়ীতে এসেছে। তারা বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ার জন্য পলিটিক্যাল পার্টি গঠন করেছে। যে পলিটিক্যাল পার্টি আমাদের এতোটা অনুপ্রাণিত করেছে— আমরা চিন্তা করেছি বাংলাদেশে এসে এই পলিটিক্যাল প্রসেসে অন্তর্ভুক্ত হবো। রাজবাড়ীর পরিবর্তনে কাজে লাগব, সেজন্য আমরা রাজবাড়ীতে এসেছি।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে রাজবাড়ী শহরের রেলগেট শহীদ স্মৃতি চত্বরে এনসিপি আয়োজিত এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, এই রাজবাড়ী বছরের পর বছর বাংলাদেশের উন্নয়নে শুধু অবদানই রাখে, কিন্তু এখানে একটা ভালো হাসপাতাল নেই। এই রাজবাড়ীর মানুষ অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য কয়েক ঘণ্টা জার্নি করে অন্য জেলায় যেতে হয়।

তিনি বলেন, আমরা এই রাজবাড়ীতে উন্নয়নের ছোঁয়া দেখতে পাচ্ছি না। আমরা একটা হাসপাতাল পাই না, আমরা একটা ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাই না। আমরা জাতীয় নাগরিক পার্টি থেকে আপনাদের কাছে এসেছি। রাজবাড়ীতে একটা বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজন। যেন রাজবাড়ী জেলার সন্তানদের পড়ালেখার জন্য অন্য জেলায় যেতে না হয়।

এনসিপির এই নেতা বলেন, আমরা রাজবাড়ীতে চিকিৎসার জন্য বিশ্বমানের হাসপাতাল চাই। সেজন্য আমরা রাজবাড়ীবাসীর পক্ষ থেকে সারাজীবন কাজ করব। আমাদের রাজবাড়ীর যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব একটা ভালো না। এজন্য রাজবাড়ীর উন্নয়ন অনেক ক্ষেত্রে ব্যাহত হয়। শিল্পাঞ্চল যতটা বড় হওয়া প্রয়োজন ততটা হতে পারে না।

উল্লেখ্য, খালেদ সাইফুল্লাহ রাজবাড়ী জেলার কৃতি সন্তান। তার বাড়ি সদর উপজেলার পাচুরিয়া ইউনিয়নের মুকন্দিয়া গ্রামে। তিনি পড়ালেখার সুবাদে দীর্ঘদিন লন্ডনে ছিলেন। সেখান থেকে তিনি ব্যারিস্টারি পড়া শেষ করেন। বর্তমানে তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

তরুণ বয়সে নবীজির যে গুন ছিল | ইসলামিক জ্ঞান Sep 13, 2025
যে আমল আপনাকে জান্নাতে নিবে | ইসলামিক টিপস Sep 13, 2025
img
নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কিকে ড. ইউনূসের অভিনন্দন Sep 13, 2025
img
শুধু বাংলাদেশ নয়, এই উপমহাদেশে পিআর পদ্ধতি অচল : বুলু Sep 13, 2025
img
সাকিবকে ছাড়িয়ে নতুন মাইলফলকের দোরগোড়ায় লিটন দাস Sep 13, 2025
img
নির্মাতাদের কাছে ক্ষমা চাইলেন পপি Sep 13, 2025
শখের শুরু, ভালোবাসার রূপ - ঘোড়ার নাম ‘আরস্লান’ Sep 13, 2025
মেলায় ঘোড়ায় চড়ে নজর কাড়লেন নারী রাইডার! Sep 13, 2025
এনসিপি-জামায়াতসহ আট দলের যুগপৎ কর্মসূচির ঘোষণা Sep 13, 2025
হাজার টাকার চাকরি ছেড়ে কনটেন্ট বানিয়ে সফল ভোলার তরুন! Sep 13, 2025
img
রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন না হলে গণতন্ত্রচর্চা আগের মতোই হবে : সালাহউদ্দিন Sep 13, 2025
সরকারি চিকিৎসকদের অনিয়ম ঠেকাতে ৮ দফা নির্দেশনা Sep 13, 2025
ইসরাইলের আগ্রাসন থামাতে বৈশ্বিক চাপ চাই: তারেক রহমান! Sep 13, 2025
img
টানা ৩ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা Sep 13, 2025
img

ব্রাজিলে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে

বিচারব্যবস্থার মধ্যে কারিগরি সহযোগিতা বৃদ্ধিতে আলোচনা Sep 13, 2025
img

জাকসু নির্বাচন ২০২৫

নির্বাচনে কারচুপি প্রমাণিত হলে চাকরি ছেড়ে দেব : জাকসুর সিইসি Sep 13, 2025
img
সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে আটক ১০ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ Sep 13, 2025
img
মেসিকে নিয়ে সুখবর দিলেন মাশচেরানো! Sep 13, 2025
img
পদত্যাগ করলেন জাকসু নির্বাচন কমিশনের আরেক সদস্য ড. স্নিগ্ধা Sep 13, 2025
img
শ্রীলেখাকে বয়কট ইস্যুতে নীরব পুলিশ, পদক্ষেপ নিল আদালত Sep 13, 2025