কাশ্মীরের সমর্থনে লাখো জনতা পাকিস্তানের রাজপথে

ভারত সরকারের জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের প্রতিবাদে পাকিস্তান সরকারের নেতৃত্বে দেশজুড়ে বিক্ষোভ হয়েছে। খবর পার্সটুডের। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আহ্বানে শুক্রবার সারা দেশের মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। এ সময় বিক্ষোভাকারীরা কাশ্মিরের জনগণের প্রতি তাদের সংহতি ঘোষণা করে।

ভারতের প্রধানন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকাও পোড়ায় তারা। শুক্রবার দুপুরে রেডিও-টেলিভিশনে পাকিস্তান এবং কাশ্মীরের জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর পর দেশজুড়ে বাজানো হয় সাইরেন। এ সময় রাস্তায় গাড়ি চলাচলসহ সবকিছু কয়েক মিনিটের জন্য বন্ধ হয়ে যায়।

রাজধানী ইসলামাবাদে কয়েক হাজার পাকিস্তানি সরকারি কার্যালয়গুলোর সামনে কনস্টিটিউশন অ্যাভিনিউয়ে জড়ো হয়। সেখানে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কাশ্মীর স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত কাশ্মীরিদের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন তিনি।

ইমরান খান বলেন, ‘আমরা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ না করা পর্যন্ত কাশ্মীরের সঙ্গে থাকব। তাদের এ কঠিন সময়ে আমরা তাদের পাশে আছি। আজ এখান থেকে এ বার্তাই পৌঁছে দেয়া হচ্ছে যে, কাশ্মীরিরা যতক্ষণ স্বাধীনতা পাবে না, আমরা তাদের সঙ্গে থাকব।’

তিনি আরো বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদি, আমি আপনাকে বলতে চাই যে, আমরা সমুচিত জবাব দেব। প্রতিটি ইটের জবাব পাথর দিয়ে দেয়া হবে। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী প্রস্তুত আছে।’

তিনি দাবি করেন, আরএসএসের আদর্শ ভারতকে গ্রাস করেছে। যেভাবে নাৎসিরা জার্মানিকে গ্রাস করেছিল সেভাবেই ভারতকে গ্রাস করা হয়েছে।

স্থানীয় সময় বেলা ১২টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত গোটা পাকিস্তানের যানবাহন চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়। রাস্তার ট্রাফিক আলো নিভিয়ে দেয়া হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত, ব্যাংক-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বেসকারি অফিস- আইনজীবী এবং সামরিক কর্তৃপক্ষসহ সবাই রাস্তায় নেমে আসেন।

৫ আগস্ট ভারত সরকার ৩৭০ ধারা বাতিল করে কাশ্মীর অঞ্চলে নিরাপত্তা বাড়ানোর পর থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের উত্তেজনা বেড়েছে। ভারতের কাশ্মীর সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে পাকিস্তান ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করার পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করাসহ যাতায়াত-যোগাযোগও বন্ধ করেছে।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on:

সর্বশেষ