গ্রেপ্তার বৈষম্যবিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অনুসন্ধানে বাধা নেই: দুদক

চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের কারও কারও বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠলে সেগুলোর তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।

সোমবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চাঁদাবাজির বিষয়টি দুদকের এখতিয়ার নয়। তবে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তদন্ত করা যাবে। সেক্ষেত্রে অনুসন্ধানে কোনো বাধা নেই।’

গত শনিবার (২৬ জুলাই) রাতে রাজধানীর গুলশানে আওয়ামী লীগের নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা সবাই ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন: ইব্রাহিম হোসেন — ঢাকা মহানগর কমিটির আহ্বায়ক, সাকদাউন সিয়াম — ঢাকা মহানগর কমিটির সদস্য, সাদমান সাদাব — ঢাকা মহানগর কমিটির সদস্য, আবদুর রাজ্জাক রিয়াদ — সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় সদস্য, একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক — যার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত ১৭ জুলাই তারা গুলশানে শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে প্রথমে পুলিশ নিয়ে প্রবেশ করে, পরে তার স্বামী আবু জাফরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তখন ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করেন জাফর। পরে চাঁদার বাকি টাকা আনতে গেলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা আবদুর রাজ্জাক রিয়াদের পরিবার আগে অস্বচ্ছল ছিল। সম্প্রতি তাদের পুরনো টিনের ঘর ভেঙে সেখানে দালান নির্মাণ করা হচ্ছে। এলাকাবাসীর ভাষ্য, মাত্র দুই মাস আগে শুরু হওয়া এই নির্মাণকাজ নিয়ে এলাকায় নানা আলোচনা চলছে।

গণমাধ্যমে রিয়াদের সম্পদের দৃশ্যমান প্রসারে প্রশ্ন ওঠায় দুদক মহাপরিচালক বলেন, ‘যদি এ ধরনের অভিযোগ সুনির্দিষ্টভাবে আসে, তাহলে আমরা অবশ্যই অনুসন্ধানে যেতে পারি।’
গ্রেপ্তার পাঁচজনের মধ্যে চারজনকে ঢাকার একটি আদালত সাত দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে। অপর একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাকে টঙ্গীর কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

এফপি/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় আরও ১১ আসামি Dec 24, 2025
img
নিরাপত্তা শঙ্কায় চিন্নাস্বামীতে খেলা হচ্ছে না কোহলির Dec 24, 2025
img
বক্সিং ডে টেস্টের আগে ব্রুককে পরামর্শ দিলেন রিকি পন্টিং Dec 24, 2025
img

বাগেরহাট-৩ আসনের জামায়াত প্রার্থী

হিন্দুদের পাশে জামায়াত অতীতেও ছিল, আগামীতেও থাকবে Dec 24, 2025
img
৩ সরকারি দপ্তরে দুর্নীতি দমন কমিশনের অভিযান Dec 24, 2025
img
২৯ ঘণ্টায় ডা. তাসনিম জারার ফান্ড রেইজিং লক্ষ্যমাত্রা পূরণ Dec 24, 2025
img
তুরস্কে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ গেল লিবিয়ার সেনাপ্রধানের Dec 24, 2025
img
লিবিয়ার সেনাপ্রধান আল-হাদদাদকে বহনকারী বিমানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন Dec 24, 2025
img

চিফ প্রসিকিউটরকে ট্রাইব্যুনাল

আপনি কথায় কথায় দাঁড়িয়ে যান কেন? Dec 24, 2025
img
আমজনতার দলের সদস্য হয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন আওয়ামী লীগ নেতা Dec 24, 2025
img
২ ট্রলারসহ ১৩ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি Dec 24, 2025
img
ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দল ঘোষণা করল নিউজিল্যান্ড Dec 24, 2025
ফের রাজপথে আজমেরী হক, শিল্পী সমাজের সক্রিয় বার্তা Dec 24, 2025
ভিন্ন ধাঁচে ‘ডিসেম্বর মুড’-এ জয়া আহসান Dec 24, 2025
সহিংসতায় উদ্বিগ্ন দেব, শান্তির পক্ষে দৃঢ় অবস্থান Dec 24, 2025
খনিজ সম্পদ নয় জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গ্রিনল্যান্ড লাগবে: ট্রাম্প Dec 24, 2025
“মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের”—কর্নেল হাসিনুরের কথার সঙ্গে একমত পোষণ মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ ইবরাহিমের Dec 24, 2025
পাকিস্তানের কাছে লজ্জাজনক হারের ব্যাখ্যা চায় বিসিসিআই Dec 24, 2025
ভারত সাহায্য চেয়েছে, বিস্ফোরক দাবি পাকিস্তানের সাবেক তারকার Dec 24, 2025
ঢাকার কোচিং প্যানেলে স্থানীয় কোচদের আধিক্য Dec 24, 2025