অ্যান্টার্টিকায় ৬৬ বছর আগে এক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন ব্রিটিশ নাগরিক ডেনিশ বেল। সেখানকার বরফ গলে ছয় দশক পর বেরিয়ে এসেছে তার মরদেহ। সঙ্গে পাওয়া গেছে স্কাই পোল, পাইপ এবং ঘড়িসহ অন্যান্য জিনিসপত্র।
ডেনিশ বেল ফকল্যান্ড আইল্যান্ড সার্ভের হয়ে কাজ করতেন। যা এখন ব্রিটিশ অ্যান্টার্টিক সার্ভে নামে পরিচিত। ১৯৫৯ সালের একদিন বরফের খাদে পড়ে যান তিনি। ওই সময় তার বয়স ছিল মাত্র ২৫ বছর।
খাদে পড়ে যাওয়ার পর তাকে খুঁজে পেতে চেষ্টা চালালেও সেগুলো আর সফল হয়নি। তবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রথমবারের মতো তার দেহাবশেষের খোঁজ মেলে। পোল্যান্ডের একটি দল প্রথমে তার হাড় খুঁজে পায়। এরপর একে একে তার সঙ্গে থাকা প্রায় ২০০টি ছোট বস্তুও পাওয়া যায়। যারমধ্যে রেডিও, একটি টর্চ, হাতঘড়ি, সুইডিশ চাকু এবং পাইপ ছিল।
তার দেহাবশেষ প্রথমে ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে আনা হয় লন্ডনে। কাজটি করে যুক্তরাজ্যের বিমানবাহিনী।
এরপর লন্ডনের কিংস কলেজে তার ভাইয়ের ডিএনএ-এর সঙ্গে তার ডিএনএ মিলিয়ে পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়। বেলের ভাই ডেভিড বর্তমানে অস্ট্রেলিয়াতে থাকেন।
বেল ১৯৫৯ সালে একটি জরিপ ও ভূতত্ত্ব সংক্রান্ত কাজ করছিলেন। তার সঙ্গে আরও তিনজন গবেষক ছিলেন। তারা সবাই কিং জর্জ দ্বীপের এডমিরাল্টি বে-তে নিযুক্ত ছিলেন। অ্যান্টার্টিকায় এটি যুক্তরাজ্যের একটি ছোট দ্বীপ।
বরফের পাতলা আস্তরণ ধসে বেল ১০০ ফুট গভীর খাদে পড়ে যান। তখন তার এক সহকর্মী উপর থেকে ডাক দিলে বেল সাড়া দেন। এরপর নিচে দড়িঁ ফেলা হয়। সেটি বেয়ে তিনি প্রায় উপরে উঠে এসেছিলেন। কিন্তু দঁড়ি ছিঁড়ে তিনি নিচে পড়ে যান। এরপর তার আর কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। অবশেষে দীর্ঘ ৬৬ বছর পর মিলেছে তার দেহাবশেষ।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
এসএন