রুশ বাহিনীর নতুন অগ্রযাত্রায়ও অঞ্চল ছাড়তে অস্বীকৃতি জেলেনস্কির

ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে ডনবাস অঞ্চল ছেড়ে দেয়ার রাশিয়ার যেকোনো প্রস্তাব ইউক্রেন প্রত্যাখ্যান করবে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রাশিয়ার সৈন্যরা নতুন করে অগ্রসর হওয়ার মধ্যে এই ঘোষণা দিলেন জেলেনস্কি।

বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, আগামী শুক্রবার আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ান প্রতিপক্ষ ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে বৈঠকের আগে জেলেনস্কি এই কথা বললেন।

এর আগে ট্রাম্প বলেছেন, যেকোনো শান্তি চুক্তিতে ‘কিছু অঞ্চলের বিনিময়’ করতে হতে পারে। পুতিনের দাবিগুলোর মধ্যে একটি হল, ডনবাসের যেসব অংশ এখনও কিয়েভের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তা ছেড়ে দিতে হবে।

এদিকে, ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের আগে রাশিয়ার সৈন্যরা তাদের আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। পূর্বাঞ্চলীয় শহর ডোব্রোপিলিয়ার কাছে হঠাৎ আক্রমণ চালিয়েছে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই ১০ কিলোমিটার (ছয় মাইল) এগিয়েছে।

জেলেনস্কি স্বীকার করেছেন, বেশ কয়েকটি স্থানে রাশিয়ান সৈন্যরা অগ্রসর হয়েছে, কিন্তু কিয়েভ শীঘ্রই আক্রমণে জড়িত ইউনিটগুলোকে ধ্বংস করবে বলেও জানান তিনি।

রাশিয়ার অগ্রগতিকে গুরুত্ব না দিয়ে, জেলেনস্কি আরও যোগ করেছেন, এটি আমাদের কাছে স্পষ্ট যে, পুতিন ট্রাম্পের সাথে দেখা করার আগে মস্কো এটা বোঝাতে চায় যে, রাশিয়া সামনে যাচ্ছে, এগিয়ে যাচ্ছে, যখন ইউক্রেন হেরে যাচ্ছে।

শুক্রবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে দেখা করার সময় ভ্লাদিমির পুতিন কী দাবি করতে পারেন সে সম্পর্কে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবরণ প্রকাশিত হয়নি।

লুহানস্ক এবং দোনেৎস্কের পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চল নিয়ে গঠিত ডোনবাস ২০১৪ সাল থেকে আংশিকভাবে রাশিয়ার দখলে।

মস্কো এখন প্রায় পুরো লুহানস্ক এবং দোনেৎস্কের প্রায় ৭০ শতাংশ দখল করে আছে, তবে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময়, জেলেনস্কি পুনরায় নিশ্চিত করেছেন যে, ইউক্রেন ডোনবাস ছেড়ে যাওয়ার যে কোনো প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করবে।

পিএ/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পথে সবচেয়ে বড় বাধা ভারত Nov 24, 2025
শান্তি আলোচনায় নতুন মোড়: ইউক্রেনের উদ্বেগ বাড়ছে Nov 24, 2025
গণমাধ্যমে প্রকৃত খবরের জন্য যুদ্ধ করতে হয়: তালাত মামুন Nov 24, 2025
গণমাধ্যমের কমিশন তৈরি হয়েছে কিন্তু রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হয়নি: মির্জা ফখরুল Nov 24, 2025
বাংলাদেশের মিডিয়াকে শিল্পগোষ্ঠীর হাতে জিম্মি হতে দেয়া ঠিক না : নুরুল হক নুর Nov 24, 2025
img
বলিউডের ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ ধর্মেন্দ্র, অমিতাভ যদি ‘শচীন’ হন, তবে তিনি হলেন ‘দ্রাবিড়’ Nov 24, 2025
img
ডেঙ্গুতে একদিনে প্রাণ হারাল ২, হাসপাতালে ৭০৫ Nov 24, 2025
img
সোশ্যাল মিডিয়ায় নারীদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তায় হুমার কড়া বার্তা Nov 24, 2025
img
দেশের মালিক জনগণ, সরকার নয় : সুলতানা কামাল Nov 24, 2025
img
চট্টগ্রাম জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরীকে ধিক্কার জানাই: ইশরাক হোসেন Nov 24, 2025
img
মুকুট না পেলেও দেশের মন জিতলেন মিথিলা, ফেরার পর শুরু নতুন অধ্যায় Nov 24, 2025
img
জিজ্ঞাসাবাদে আক্রমণাত্মক আচরণ করা হয়েছে, অভিযোগ শহীদুল হকের আইনজীবীর Nov 24, 2025
img
তিলককে চার নম্বরে খেলাতে চাইছেন ইরফান পাঠান Nov 24, 2025
img
রাশিয়া ও সৌদি আরব থেকে ৭৫ হাজার টন সার কিনবে সরকার Nov 24, 2025
img
প্রথমবারের মতো দলীয় সভায় বক্তব্য রাখলেন জাইমা রহমান Nov 24, 2025
img
ব্রুনাইয়ের জালে বাংলাদেশের ৮ গোল Nov 24, 2025
img
ভূমিকম্প সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে বিশেষজ্ঞদের ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা : রিজওয়ানা Nov 24, 2025
img
শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের অভিযোগে ইবি অধ্যাপক চাকরিচ্যুত Nov 24, 2025
img
ধর্মেন্দ্রর শেষ খবর কেন কাওকে জানায়নি পরিবার? Nov 24, 2025
img
নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুলের ৪৪ কোটি টাকার জমি জব্দ Nov 24, 2025