বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির প্রাথমিক ফল চলতি সপ্তাহেই প্রকাশ হতে পারে। এ জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি শেষ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
সংস্থাটির চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, অনুমোদন পেলেই দ্রুততম সময়ে সুপারিশ প্রকাশ করা হবে।
জানা গেছে, পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান রেখেই নিয়োগ সুপারিশের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন চেয়েছিল এনটিআরসিএ।
রোববার (১৭ আগস্ট) বিকেল ৫টার পর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. মজিবর রহমান এ অনুমোদন দেন।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) মো. মিজানুর রহমান এবং এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম।
এখন বিষয়টি শিক্ষা উপদেষ্টার দপ্তরে যাবে। সেখান থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন পেলেই এনটিআরসিএ ফল প্রকাশ করবে।
এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত সচিব মো. মিজানুর রহমান বলেন, নিয়োগ সুপারিশে সাধারণত মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগে না। তবে পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান রেখে সুপারিশ করতে হলে অনুমোদন নিতে হয়। সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এখন শিক্ষা উপদেষ্টার অনুমোদন হলেই ফল প্রকাশ করবে এনটিআরসিএ।
এদিকে সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, চলতি প্রক্রিয়ায় ৪১ হাজারের বেশি প্রার্থীকে নিয়োগ সুপারিশ করা হবে। তবে চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে সঠিক সংখ্যা জানানো যাবে না।
তিনি বলেন, ‘সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। খুব দ্রুতই নিয়োগ সুপারিশ করা হবে।’
এর আগে, গত ১৬ জুন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এতে মোট শূন্যপদ ছিল এক লাখ ৮২২টি। এর মধ্যে স্কুল ও কলেজে ৪৬ হাজার ২১১টি, মাদ্রাসায় ৫৩ হাজার ৫০১টি এবং কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানে এক হাজার ১১০টি পদ ফাঁকা ছিল। ২২ জুন থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হয়। শেষ পর্যন্ত ফি পরিশোধ করে সফলভাবে আবেদন করেন ৫৭ হাজার ৮৪০ জন প্রার্থী। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রত্যেক প্রার্থী সর্বোচ্চ ৪০টি প্রতিষ্ঠানে পছন্দ দিতে পেরেছেন।
তবে শূন্যপদ লক্ষাধিক হলেও আবেদনকারীর সংখ্যা ৬০ হাজারেরও কম হওয়ায় প্রায় অর্ধেক পদ এবারও ফাঁকা থেকে যাবে।
এনটিআরসিএ সূত্র বলছে, পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান রেখে প্রথম ধাপে প্রায় ৪১ হাজার প্রার্থীকে নিয়োগ সুপারিশ করা হবে।
২০০৫ সাল থেকে এনটিআরসিএ শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিচ্ছে। তবে প্রথম ১০ বছর শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা ছিল সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হাতে। ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর থেকে এনটিআরসিএকে সনদ দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশের ক্ষমতাও দেওয়া হয়। এরপর থেকে পাঁচটি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ২০২৪ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১ লাখ ৩২ হাজার ৮৯৮ জন শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করেছে সংস্থাটি। ষষ্ঠ বিজ্ঞপ্তি বাস্তবায়িত হলে এই সংখ্যা আরও বাড়বে।
এফপি/ এসএন