মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখবে মালয়েশিয়া

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ বলেছেন, মিয়ানমার যে অপরাধ করেছে তা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। তারা বার বার ওয়াদার বরখেলাপ করেছে। তাই তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। তাদের বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।

জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ওআইসি সেক্রেটারিয়েট ও জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন আয়োজিত ‘রোহিঙ্গা সংকট : উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের এক সভায় মঙ্গলবারস্থানীয় সময় বিকালে এসব কথা বলেন  তিনি। ওই অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওআইসির মহাসচিব ইউসেফ আহমেদ আল-ওথাইমিন প্রমুখ।

মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে যা হয়েছে তা গণহত্যা ও সেখানে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালানো হয়েছে।

মিয়ানমারে পরিস্থিতি মোটেও ভালো না উল্লেখ করে মাহাথির বলেন, অনেক রোহিঙ্গা বাস্তুচ্যুত, রাখাইন রাজ্যে তাদের স্থান হয়েছে অভ্যন্তরীণ ক্যাম্পে। বিশ্ব এসব কুখ্যাত বন্দিশিবির সম্পর্কে জানতে পারলেও মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ তা অস্বীকার করেছে। তারা সেখানে জাতিসংঘের প্রতিনিধি ও মানবাধিকার কর্মীদের প্রবেশ করতে দেয়নি।

লুকানোর কিছু যদি না থাকে, তবে মিয়ানমারের পরিস্থিতি দেখাতে এত বাধা কেন? এই প্রশ্ন রেখে মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, জাতিসংঘ প্রতিনিধিসহ সাহায্যকারী কর্মীদের সেখানে পরিদর্শন ও সেখানকার ক্যাম্পে যারা আছে তাদের সহায়তার সুযোগ দিক।

রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, সম্মানজনক ও স্বেচ্ছাপ্রত্যাবর্তন নিশ্চিতে মালয়েশিয়া চাপ অব্যাহত রাখবে বলে জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী। সম্মানজনক প্রত্যাবর্তনে রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নাগরিকত্ব দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ব্যর্থ হওয়ার জন্য মিয়ানমারকে দায়ী করেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘তাদের উচিত এ সংকট সমাধান করা। প্রত্যাবর্তন প্রথমেই প্রাধান্য পাওয়া উচিত। কিছু রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে দু’টি প্রচেষ্টা হয়েছে। দু’টিই ব্যর্থ হয়। এর কারণ সুস্পষ্ট। জীবনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা না পেলে কেউই ফিরবে না।’

ওআইসি মহাসচিব ড. ইউসুফ বিন আহমেদ আল ওথাইমিন রোহিঙ্গা গণহত্যায় জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘এটা আমাদের আছে স্পষ্ট যে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমার কোনো উদ্যোগই নেয়নি। তারা বিশ্ব নেতাদের চাওয়াকে অবজ্ঞা করছে। জাতিসংঘ কিছু উদ্যোগ নিলেও আজও তা সফল হয়নি।’

 

টাইমস/এসআই

Share this news on:

সর্বশেষ