চলমান পেঁয়াজ সঙ্কটের মধ্যে সোমবার মিশর, চীন ও মিয়ানমার থেকে আমদানী করা পেঁয়াজের প্রথম চালান দেশে এসে পৌঁছেছে। সোমবার মিয়ানমার থেকে ৬৫০ মেট্রিকটন এবং মিশর ও চীন থেকে আরো প্রায় ৪ লাখ হাজার কেজি পেঁয়াজ এসেছে। দাপ্তরিক কাজ শেষে খুব তাড়াতাড়ি সেগুলোকে বাজারে ওঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
জানা গেছে, সোমবার মিয়ানমার থেকে আটটি ট্রলারে করে মোট ৬৫০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ কক্সবাজারের টেকনাফে আসে। আগামীকাল আরো ২ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আসার কথা রয়েছে।
এছাড়া একইদিন মিশর ও চীন থেকে আমদানী করা ৩ লাখ ৬৪ হাজার কেজি পেঁয়াজও চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে পৌঁছেছে। কনটেইনারে করে আমদানি করা এসব পেঁয়াজ খালাসের প্রক্রিয়া চলছে।
এর আগে বিকেলে সচিবালয়ে বাণিজ্য সচিব সাংবাদিকদের জানান, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে একটি জাহাজের পেঁয়াজ রোববার খালাস হয়েছে। আর একটি জাহাজ আজ (সোমবার) খালাস হবে।
মিয়ানমার থেকে দুটি চ্যানেলে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, একটা বর্ডার ট্রেড হিসেবে আসে টেকনাফ দিয়ে। এটা চলমান। একটা হলো ফরমাল চ্যানেলের মাধ্যমে নৌবন্দর দিয়ে।
এদিকে চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, মিশর ও চীন থেকে জেনি এন্টারপ্রাইজ, এন এস ইন্টারন্যাশনাল, হাফিজ করপোরেশন নামের তিনটি প্রতিষ্ঠান কনটেইনারবাহী জাহাজ এমভি কালা পাগুরো, জাকার্তা ব্রিজ ও কোটা ওয়াজারে করে মোট ৩ লাখ ৬৪ হাজার কেজি পেয়াজ আমদানী করেছে। মোট ১৪ টি কন্টেইনারে করে এ পেঁয়াজ আমদানী করা হয়।
বন্দরের পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম গণমাধ্যমকে জানান, কনটেইনারবাহী জাহাজ তিনটির মধ্যে দুটি থেকে কনটেইনারে থাকা পেঁয়াজ খালাস হচ্ছে।অন্যটি জেটিতে ভিড়ানোর পর খালাস হবে।
টাইমস/এমএস