নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা লতিফ সিদ্দিকীর

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।

রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

লতিফ সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, দেশে নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই, আমার কারণে আমার নেতাকর্মীরা মার খাবে তা আমি মেনে নিতে পারবো না। তাই আমি নিজেই নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমি ১৩৩ টাঙ্গাইল-৪ জাতীয় সংসদ আসনে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলাম। কিন্তু পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে নির্বাচন করার পরিবেশ নেই।

তিনি আরও বলেন, ইলেকশনটা তো বাণিজ্য নয়। আমি জীবনে অনেক ইলেকশন করেছি। ১৯৭০ সাল থেকে শুরু করেছি; আজকে ২০১৮ সাল। এই রকম নির্বাচন আমার এলাকায় আমি জীবনেও দেখিনি।

আওয়ামী লীগের সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, প্রতিদিন আমার সমর্থকদের গ্রেফতার করে হয়রানি করছে। সংসদ সদস্যের সরাসরি হস্তক্ষেপে, ভরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার উসকানিতে আমার অফিস ভেঙে দিচ্ছে। পরিস্থিতির এমন অবনতিতে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি- নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর।

প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীকে জানাতে চাই- আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে আমি সরে দাঁড়ালাম। আমি অসম্মানিত হই সম্মানিত হওয়ার জন্য।

এর আগে ১৬ ডিসেম্বর কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ি এলাকায় নির্বাচনী জনসংযোগে গেলে লতিফ সিদ্দিকীর গাড়িবহরে হামলা করে চারটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনার বিচারের দাবিতে ওই দিন থেকেই তিনি টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অনশন শুরু করেন। একপর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথম টাঙ্গাইলের হাসপাতালে ও পরে গত বুধবার ঢাকায় নেওয়া হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার লতিফ সিদ্দিকীর গাড়িবহরে হামলাকারী চারজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

 

টাইমস/এএস/এইচইউ

Share this news on: