কাশ্মীরে ঢুকতে বাধা, মোদি সরকারের তীব্র সমালোচনায় মার্কিন সিনেটর

জম্মু-কাশ্মীরে ঢুকতে না পেরে ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট দলের সিনেটর ক্রিস ভ্যান হলেন।

কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেয়া ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর থেকে গত দু’মাস ধরে উপত্যকাকে কার্যত অবরুদ্ধ এবং বহির্বিশ্বের থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।

তার কথায়, ‘কিছু লুকনোর না থাকলে, সেখানে ঢুকতে দিতে ভয় পাওয়ার কথা নয়।’

আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি দুই দিনের ভারত সফরে এসেছিলেন ক্রিস ভ্যান। বৃহস্পতি এবং শুক্রবার দিল্লিতে একাধিক আমলা এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখাও করেন। তার এক সপ্তাহ আগে ভারত সরকারকে চিঠি দিয়ে কাশ্মীরে ঢোকার আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু অনুমতি মেলেনি।

ভারতীয় এক গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘নিজের চোখে কাশ্মীরের পরিস্থিতি দেখতে চেয়েছিলাম। সেই মতো এক সপ্তাহ আগে থেকে আবেদন জানিয়ে রেখেছিলাম। তা সত্ত্বেও অনুমতি মেলেনি। কাশ্মীরে যাওয়ার পক্ষে এখন সময় অনুকূল নয় বলে জানিয়ে দেয়া হয় আমাদের।’

ক্রিসের বাবা ক্রিস্টোফার ভ্যান হলেন সিনিয়র একসময় পাকিস্তান ও ভারতে মার্কিন দূতাবাসে কর্মরত ছিলেন। পাকিস্তানের করাচিতে জন্মেছেন ক্রিস। কোদাইকানালের একটি স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। তাই দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল তিনি।

ক্রিস বলেন, ‘কাশ্মীরে গিয়ে নিজের চোখে পরিস্থিতি কেমন দেতে চেয়েছিলাম। ভারত সরকারের আপত্তিতে তা হয়ে ওঠেনি। কোনও কিছু লুকনোর না থাকলে, সেখানে পা রাখা নিয়ে ভয় থাকার কথা নয়। আমার মতে, কাশ্মীরের যা ঘটছে, ভারত সরকার তা কাউকে দেখতে দিতে চায় না।’

এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে সরকারি সূত্রে খবর, নিরাপত্তার কারণেই অন্য দেশ থেকে আসা বিশিষ্ট মানুষদের কাশ্মীরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

ভারতীয় ও পাকিস্তান বংশোদ্ভূত মুসলিম অধ্যুষিত মেরিল্যান্ডের সেনেটর ক্রিস আগেও একাধিক বার জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে সরব হয়েছেন।

তার উদ্যোগেই গত সপ্তাহে হাউস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস কমিটিতে জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে একটি বিশেষ বিল গৃহীত হয়। তাতে উপত্যকার মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, অবিলম্বে কাশ্মীরের সর্বত্র কারফিউ তুলে নিতে হবে। মুক্তি দিতে হবে সমস্ত বন্দিদের। যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করে চালু করে দিতে হবে ইন্টারনেট পরিষেবাও। 

 

টাইমস/এসআই

Share this news on: