ঢাকাই চলচ্চিত্রের অন্যতম জনপ্রিয় মুখ পূর্ণিমা। বর্তমানে মানুষ কেন সিনেমা হলে যায় না, এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশ টাইমস প্রতিবেদকের কাছে মুখ খুললেন তিনি।
পূর্ণিমা বলেন, সাধারণ সিনেমা হলের চেয়ে সিনেপ্লেক্সগুলো বেশ আরামদায়ক ও গুণগত মানের। দর্শক দুই বা তিন ঘণ্টা বসে বাংলা সিনেমা আরাম করে দেখতে না পারলে কেন হলে আসবে? আর আরাম করে দেখার পাশাপাশি মনোযোগ সহকারে দেখার বিষয়টিও অতীব জরুরি। সেজন্য চাই, সিনেমা হলের ভালো পরিবেশ।
বর্তমানে বাসায় বসেও এলইডি টেলিভিশনে ঝকঝকে প্রিন্ট দেখতে পাচ্ছেন দর্শকরা। তাই টাকা খরচ করে সিনেমা হলে আসার কোনো মানে নেই। দর্শক বরাবরই স্বচ্ছ ও ভালো মানের ছবি দেখতে চাইবেন, এটাই স্বাভাবিক। আর তাদের কথা মাথায় রেখে সিনেমা তৈরি করতে হবে। নাটক বানিয়ে লম্বা করে ছেড়ে দিলে তো আর সিনেমা হবে না।
পূর্ণিমা আরও বলেন, আমি আসলে সিনেমাবোদ্ধা না। তারপরেও আমার মনে হয় জেলা পর্যায়ে শপিং মলের পাশাপাশি যদি সিনেপ্লেক্স তৈরি হয় তাহলে দর্শকরা অবশ্যই সিনেমা দেখতে যাবেন। কারণ শপিং মল সব সময় জমজমাট থাকে। আর সিনেমা মুক্তির সময় যদি ঠিকভাবে প্রচারণা চালানো যায়, তাহলে হলে মানুষ ফিরবে।
শুরুতে বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘এ জীবন তোমার আমার’ ছবিতে অভিনয় করে দর্শকদের চমকে দিয়েছিলেন পূর্ণিমা। এ ছবির মধ্য দিয়ে অল্প বয়সেই রূপালি পর্দায় নায়িকা হিসেবে ঝলমলে এক অভিষেক হয়েছিল তার।
১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া ক্যারিয়ারের এ প্রথম ছবিতে পূর্ণিমা নায়ক হিসেবে পেয়েছিলেন রিয়াজকে। এরপর ‘নিঃশ্বাসে তুমি বিশ্বাসে তুমি’, ‘মেঘলা আকাশ’, ‘মনের মাঝে তুমি’, ‘মেঘের পরে মেঘ’, টাকা’, ‘সুভা’, ‘হৃদয়ের কথা’, ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’, ‘মাটির ঠিকানা’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় বাংলা সিনেমায় অভিনয় করে তিনি ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পান।
২০১০ সালে কাজী হায়াত পরিচালিত ‘ওরা আমাকে ভালো হতে দিল না’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে পূর্ণিমা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। মাঝে চলচ্চিত্র থেকে দূরে থাকলেও আবারো নিয়মিত কাজ করছেন পূর্ণিমা। বর্তমানে নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামূলের ‘জ্যাম’ ও ‘গাঙচিল’ নামে দুটি ছবিতে অভিনয় করছেন তিনি।
নতুন সিনেমা দুটো প্রসঙ্গে পূর্ণিমা বাংলাদেশ টাইমস প্রতিনিধিকে বলেন, আজ (মঙ্গলবার) থেকে নোয়াখালিতে ‘গাঙচিল’ ছবির কাজ শুরু হয়েছে। এই সিনেমাটি দর্শকদের ভালো লাগবে বলে আশা করছি। এতে পূর্ণিমাকে দর্শকরা মোহনা নামের চরিত্রে দেখতে পাবেন। ছবিটিতে তার বিপরীতে রয়েছেন ফেরদৌস। নোয়াখালীর সুবর্ণচরের বাসিন্দাদের জীবনের নানা ঘটনা নিয়ে এই ছবির গল্প এগিয়েছে। এই অঞ্চলের একজন এনজিওকর্মী হিসেবে অভিনয় করছেন পূর্ণিমা। আর ফেরদৌস অভিনয় করছেন সাংবাদিক চরিত্রে।
টাইমস/জেকে/এসআই