লাউয়ের জন্ম আফ্রিকায়। লাউ Cucurbitaceae গোত্রভুক্ত বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রিয় সবজি। এর বৈজ্ঞানিক নাম Lagenaria sciceraria।
লাউ নিয়ে গান গাইতে বাংলার বাউলদের ভালোবাসার প্রকাশ প্রায় সবারই জানা। এর খোল দিয়ে যেমন বাদ্যযন্ত্র তৈরি হয়, তেমনি লাউ নিয়ে বাঁধা গানও লোকমুখে এখনো ফেরে।
বাঙালির খাদ্যতালিকায়ও লাউয়ের কদর অনেক বেশি। কচি লাউ-চিংড়িতে অরুচি আছে এমন বাঙালি পাওয়া ভার। খনার বচনে আছে লাউয়ের বন্দনা, ‘উঠান ভরা লাউ-শসা, ঘরে তার লক্ষ্মীর দশা’।
মানবপুষ্টি ও স্বাস্থ্যের উপকারী দিক থেকেও লাউয়ের জুড়ি নেই। পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন- এতে রয়েছে ভিটামিন এ, বি কমপ্লেক্স, সি-সহ আছে ফলিক অ্যাসিড, ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড। এছাড়া ১০০ গ্রাম লাউয়ে জলীয় অংশের পরিমাণ ৯৬ দশমিক ১০ গ্রাম, আঁশ শূন্য দশমিক ৬ গ্রাম, আমিষ শূন্য দশমিক ২ গ্রাম, চর্বি শূন্য দশমিক ১ গ্রাম, শর্করা ২ দশমিক ৫ গ্রাম এবং খাদ্যশক্তি ১২ কিলোক্যালরি।
তাই যত লাউই খান, মুটিয়ে যাওয়ার কিন্তু আশঙ্কা নেই। তবে যাদের অল্পতেই ঠাণ্ডা লাগে, তাদের লাউ না খাওয়াই ভালো।
এ তো গেল তাত্ত্বিক কথা; আসুন জেনে নেই নিয়মিত লাউ খাওয়ার উপকারিতা এবং এর মাধ্যমে যেসব রোগ এড়ানো যায়-
টাইমস/জিএস