নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুই মসজিদে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ৫১ মুসল্লিকে হত্যা মামলার রায় আজ প্রকাশ করবে আদালত। রায় প্রকাশের কারণে হত্যাকারী শ্বেতাঙ্গ উগ্রবাদী ব্রেন্টন ট্যারেন্টকে আদালতে হাজির করা হবে।
নিউজিল্যান্ডের গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার বিকালে স্থানীয় নিউজিল্যান্ড বিমান বাহিনীর একটি বিমান থেকে ব্রেন্টন ট্যারেন্টকে নামানো হয়। এ সময় তার শরীরে সুরক্ষা পোশাক ও মাথায় হেলমেট পরানো ছিল।
সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা তাকে ঘিরে রেখেছিল। এরপর একটি সাদা ভ্যানের পেছনে চড়িয়ে তাকে আদালতের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে ৫১ মুসল্লিকে হত্যা, ৪১ জনকে হত্যাচেষ্টা ও একটি সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগে নিজের দোষ স্বীকার করেছেন অস্ট্রেলীয় সন্ত্রাসী শ্বেতাঙ্গ উগ্রবাদী ব্রেন্টন ট্যারেন্ট।
নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডের খবরে বলা হয়েছে, অকল্যান্ডের পারেমোরেমোতে অবস্থিত কারাগার থেকে ব্রেন্টনকে ঘটনাস্থল ক্রাইস্টচার্চে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাকে।
সোমবার ক্রাইস্টচার্চের একটি আদালতে এই হত্যা মামলার শুনানি হবে। সেখানে হামলায় বেঁচে যাওয়া লোকজন ও নিহতদের পরিবারের সদস্যরাও তাদের বক্তব্য রাখবেন। রায় ঘোষণার আগে ব্রেন্টন ট্যারেন্টকেও জবানবন্দি দেয়ার সুযোগ দেবে আদালত। তবে নিউজিল্যান্ডের আইনে হত্যার দায়ে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদন্ডের বিধান আছে। তবে এই সাঁজাও বেশ বিরল নিউজিল্যান্ডে।
প্রসঙ্গত, ২৯ বছর বয়সী ব্রেন্টন নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে ক্রাইস্টচার্চ আল-নূর মসজিদে জুমার নামাজের সময় মুসল্লিদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। পরে আল-নূর মসজিদ থেকে কয়েক মাইল দূরের লিন-ইউড মসজিদে গুলি চালিয়ে সাত মুসল্লিকে হত্যা করে ব্রেন্টন ট্যারেন্ট। ওই হত্যাকান্ডে পাঁচটি অস্ত্র ব্যবহার করেছে ট্যারেন্ট। আর তার সবগুলো অস্ত্রই বৈধ।
টাইমস/এসএন