চীন-রাশিয়ার অস্ত্র কিনবে ইরান: নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় জাতিসংঘের ‘না’

জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর চীন ও রাশিয়া থেকে অস্ত্র কিনবে ইরান। ইউরোপ বা অন্য কোনো দেশ থেকে আর কখনো কোনো অস্ত্র কিনবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে তেহরান। নতুন করে ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরদিনই ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ এ ঘোষণা দেন।

এদিকে ইরানের ওপর নতুন করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস বলেছেন, ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আর কোনো ইচ্ছা নেই জাতিসংঘের। কারণ মার্কিনিদের এ আহ্বানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের কোনো সায় নেই।

ইরানি একটি টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাৎকারে ইরানি মন্ত্রী বলেছেন, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইরান প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জাতিসংঘের নির্দেশনা পুরণ করে ইরান এখন নিষেধাজ্ঞামুক্ত হওয়ার পথে। জাতিসংঘ আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শেষের পথে। এ অবস্থায় নিজেদের স্বার্থ রক্ষার্থে কেউ তেহরানের অস্ত্র ক্রয় আটকাতে পারবে না। তেহরান তার প্রয়োজনীয় অস্ত্র রাশিয়া ও চীন থেকেই কিনবে।

জানা গেছে, ইরানের কাছে অস্ত্র বিক্রিতে জাতিসংঘের আরোপিত একটি নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আগামী ১৮ অক্টোবর শেষ হতে যাচ্ছে। ২০১৫ সালে বিশ্বের ছয় শক্তিধর দেশের সঙ্গে ইরানের পরমাণু চুক্তির আওতায় এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জাতিসংঘ।

এদিকে ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপে যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘকে বারবার চাপ প্রয়োগ করলেও তাতে সাড়া দিচ্ছে না সংস্থাটি। এছাড়া বিশ্বের অন্যান্য প্রভাবশালী দেশগুলোও মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পুনর্বহাল চাইছে না।

এ ব্যাপারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, একতরফাভাবে পারমাণবিক চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর এ নিয়ে আর যুক্তরাষ্ট্রের কথা বলা মানায় না। ইরানের ওপর নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পক্ষেও নয় এ তিন দেশ।

তবে ইরানের কাছে অস্ত্র বিক্রি ঠেকাতে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নিতে বিকল্প পথ খুঁজছে ইউরোপের তিন মোড়ল যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
নেতানিয়াহুর ওপর চটেছেন ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী Jul 07, 2025
img
অপসংস্কৃতি থেকে রক্ষা পেতে মঞ্চ নাটকের পুনর্জাগরণ প্রয়োজন Jul 07, 2025
img
এমন কোনো জায়গা নাই যেখানে বিএনপি চাঁদা তোলে না: ফয়জুল করিম Jul 07, 2025
img
তেলের বাজারে বড় ঘোষণা, আগস্টে বাড়ছে উৎপাদন Jul 07, 2025
img
মাহভাশের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন চাহাল Jul 07, 2025
img
আরে কারে ভয় দেখান? আমাদের হারানোর কিছুই নাই: হাসনাত আবদুল্লাহ Jul 07, 2025
img
ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরলেন নারী ফুটবলাররা Jul 07, 2025
img
সাই পল্লবীর প্রতিবাদ: নারীর অবজেক্টিফিকেশনকে না Jul 07, 2025
img
বিশ্বকে বদলে দিতে ট্রাম্পের ‘ম্যাডম্যান থিওরি’ Jul 07, 2025
img
টঙ্গীর তিন নেতাসহ চার বিএনপি নেতা বহিষ্কার Jul 07, 2025
img
টঙ্গী থেকে গ্রেফতার নেত্রকোণা জেলা আ. লীগের সহ সভাপতি Jul 07, 2025
img
জনগণের অধিকার রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান মুশফিকুর রহমানের Jul 07, 2025
img
আন্দোলনে বিকল্প যোগাযোগের গোপন ছক ফাঁস করলেন শিবির সভাপতি Jul 07, 2025
img
৭ জুলাই: ঢাকায় বাংলা ব্লকেডের ১ বছর Jul 07, 2025
img
মাহমুদুর রহমানের মায়ের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোকপ্রকাশ Jul 07, 2025
img
কুয়াকাটায় এক ইলিশ বিক্রি সাত হাজার সাতশ টাকায় Jul 07, 2025
img
বাল্কহেড আটকিয়ে চাঁদাবাজি, গোয়াইনঘাটে ৬ জন গ্রেফতার Jul 07, 2025
img
শেখ হাসিনা কি দিল্লি থেকে লন্ডনে যাচ্ছেন? Jul 07, 2025
img
রাজধানীর দুই স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ Jul 07, 2025
img
স্বজন হারালেন জামায়াত আমির, জামায়াতের শোক প্রকাশ Jul 07, 2025