যষ্টিমধুর যত গুণ

যষ্টিমধু, যার নাম শুনে মধু ভেবেই অনেকেই ভুল করি। তবে এটি মূলত গাছের শিকড়। মধু না হলেও গুণে কিন্তু মধুর চেয়ে কম নয় প্রাকৃতিক এই যষ্টিমধু। যা হাজার বছর ধরে আয়ুর্বেদিক সব ধরনের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার হয়ে আসছে। যষ্টিমধুর রয়েছে অনেক উপকারিতা।

যষ্টিমধু বহুবর্ষজীবী গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। এর কাণ্ড বহু শাখাবিশিষ্ট, তিন-চার ফুট লম্বা, সরল ও নরম হয়ে থাকে। এর পাতা দণ্ডের উভয় দিকে সমান্তরালভাবে বিন্যস্ত এবং দণ্ডের অগ্রভাগে একটি পাতা থাকে।

যষ্টিমধুর প্রধান কার্যকর রাসায়নিক উপাদানটি হলো- ট্রাইতারপিনয়েড স্যাপোনিন গ্লিসাইরিজিন (গ্লিসাইরিজিনিক অ্যাসিডের পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়াম লবণের মিশ্রণ)। এ ছাড়াও এতে রয়েছে গ্লাবরানিন-এ ও বি, গ্লিসাইরেটল, গ্ল্যাবরোলাইড, আইসোগ্ল্যারোলাইড নামে ট্রাইতারপিনয়েড স্যাপেনিন; ফরমোনোনেটিন, গ্ল্যাবরোন, নিওলিকুইরিটিন, হিসপা-গ্ল্যাবরিডিন এ ও বি নামে আইসোফাবন; হারনিয়ারিন, আম্বিলিফেরন নামক কৌমারিন এবং আনোসেরিন, এমাইরিন, স্টিগমাস্টেরল নামক ট্রাইতারপিন স্টেরল ইত্যাদি।

চলুন জেনে নিই নিয়মিত যষ্টিমধু খাওয়ার উপকারিতা এবং এর মাধ্যমে যেসব রোগ এড়ানো যায়-

কাশি কমায়
যষ্টিমধু তরল আকারে কফ বের করে দেয় এবং কাশি ভালো করতে সাহায্য করে। এছাড়া ব্রঙ্কাইটিস, টনসিলাইটিস ও কণ্ঠনালীর প্রদাহ দূর করতেও সাহায্য করে।

টিউমার প্রতিরোধক
যষ্টিমধুতে থাকা গ্লাইসিরাইটিনিক অ্যাসিড টিউমার সৃষ্টিকারী ‘এপস্টাইন বার ভাইরাস’ কার্যকারিতা প্রতিহত করে।

অ্যালার্জি প্রতিরোধক
যষ্টিমধুর গ্লাইসিরাইজিক অ্যাসিড মাস্টকোষ হতে হিস্টামিন নিঃসরণ কমিয়ে অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে।

অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে যষ্টিমধু
গ্লাইসিরাইজিন বিভিন্ন কঠিন রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাস বৃদ্ধি ও বংশ বিস্তার রোধ করে। এছাড়াও যষ্টিমধু রোগ সৃষ্টিকারী বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া এবং বিভিন্ন ছত্রাক প্রতিরোধ করতে পারে।

লিভার সুরক্ষায়
যষ্টিমধুর গ্লাইসিরাইজিন বিষাক্ত পদার্থের কবল থেকে লিভারকোষ সমূহ সুরক্ষা করে।

এছাড়াও যষ্টিমধু মুখের দুর্গন্ধ দূর করে। দুধের সঙ্গে যষ্টিমধুর গুঁড়া মিশিয়ে পান করলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে। এমনকি ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ করতে যষ্টিমধুর সঙ্গে ঘি মিশ্রিত ব্যবহার বেশ কার্যকর। যা আপনার ত্বকের বলিরেখা, ব্রণ ও দাগ দূর করে তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করবে।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on:

সর্বশেষ

img
লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট বলে কিছু নেই: রণজয় বিষ্ণু Nov 23, 2025
img
প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে-বসবে: শাহজাহান চৌধুরী Nov 23, 2025
img
'আমাকে তো ফেলে রেখে চলে যায়, এইবার মেয়ে সামলে নেবে!' Nov 23, 2025
img
দর্শকের হাসিমুখই আমার আসল অ্যাওয়ার্ড: আমির খান Nov 23, 2025
img
দূষিত শহরের তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে ঢাকা, শীর্ষে দিল্লি Nov 23, 2025
img
পাওনা টাকা আদায়ে কৃষকের গরু নিয়ে গেলেন জামায়াত নেতা Nov 23, 2025
img
গাজীপুরে বাণিজ্য-কুটিরশিল্প মেলায় হামলা-ভাঙচুর, আহত ২০ Nov 23, 2025
img
রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপ ফাইনালে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ আজ Nov 23, 2025
img
বিশ্বের বৃহত্তম ইসলামিক সংগঠনের নেতার পদত্যাগ দাবি Nov 23, 2025
img
জেনে নিন দেশের বাজারে আজকের স্বর্ণের দাম Nov 23, 2025
img

ইউক্রেন যুদ্ধ

প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনা ‘চূড়ান্ত প্রস্তাব’ নয়: ট্রাম্প Nov 23, 2025
img
আমার কাছে সঙ্গীতই অক্সিজেন: শ্রেয়া ঘোষাল Nov 23, 2025
img
গুমের দুই মামলায় ১৩ সেনা কর্মকর্তাকে ফের হাজির করা হবে আজ Nov 23, 2025
img
পঞ্চগড়ে বাড়ছে শীত, তাপমাত্রা নামল ১২ ডিগ্রিতে Nov 23, 2025
img
শক্তিশালী পিঠ বানানোর আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম: সামান্থা Nov 23, 2025
img
আবারও গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত অন্তত ২৪, আহত ৮৭ Nov 23, 2025
img
যুক্তরাজ্যে স্থায়ী হতে সময়সীমা বাড়ছে বিদেশি কর্মীদের Nov 23, 2025
img
মহেশপুর সীমান্তে নারীসহ আটক ১৩ Nov 23, 2025
img
২৩ নভেম্বর: ইতিহাসের এই দিন কেন এত স্মরণীয়? Nov 23, 2025
img
সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য নির্ধারণের ঘোষণা আজ Nov 23, 2025