রিশা হত্যা: একমাত্র আসামি ওবায়দুলের মৃত্যুদণ্ড

রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের শিক্ষার্থী সুরাইয়া আক্তার রিশা হত্যা মামলার একমাত্র আসামি ওবায়দুল হকের ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার আসামির উপস্থিতিতে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি আসামি ওবায়দুল হককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় মামলার রায়ে।

সিদ্দিক বাজারের ব্যবসায়ী রমজান হোসেনের মেয়ে রিশা ঢাকার কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত।

২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পরীক্ষা শেষে স্কুল থেকে বেরিয়ে সুরাইয়া আক্তার রিশা রাস্তা পার হওয়ার জন্য পদচারী-সেতুতে ওঠে। সেতুর মাঝামাঝি পৌঁছালে ওবায়দুল তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। সুরাইয়ার চিৎকারে স্কুলের শিক্ষার্থীরা ও কয়েকজন অভিভাবক ছুটে আসেন। এরপর তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চার দিন পর হাসপাতালে মারা যায় ১৪ বছর বয়সী ওই কিশোরী।

ঘটনার দিন হাসপাতালে সুরাইয়া আক্তারের মা জানিয়েছিলেন, তিনি ও তার মেয়ে ইস্টার্ণ মল্লিকা মার্কেটের একটি দরজির দোকান থেকে সালোয়ার-কামিজ বানাতেন। যোগাযোগের জন্য তার মোবাইল নম্বর রেখেছিলেন ওই দোকানের কর্মচারীরা। ওই নম্বরে ফোন করে দোকানের কর্মচারী ওবায়দুল তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতেন। বিষয়টি জানতে পেরে তিনি মোবাইল বন্ধ করে দেন। এরপর থেকে তার মেয়েকে ওবায়দুল স্কুলের সামনে উত্ত্যক্ত করতেন।

এ ঘটনায় ওই দিন সুরাইয়া আক্তারের মা তানিয়া বেগম বাদী হয়ে রমনা থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। পরে সুরাইয়া আক্তার মারা গেলে এটি হত্যা মামলায় পরিণত হয়। ওই বছরের ৩১ আগস্ট নীলফামারী থেকে গ্রেপ্তার হন আসামি ওবায়দুল। এরপর সুরাইয়া আক্তারকে হত্যা করার কথা স্বীকার করে তিনি আদালতে জবানবন্দি দেন। ওই বছরের ১৪ নভেম্বর রমনা থানার পুলিশ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয়।

দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের মীরাটঙ্গী গ্রামের আবদুস সামাদের ছেলে ওবায়েদুল ইস্টার্ন মল্লিকা শপিং মলে বৈশাখী টেইলার্স নামের একটি দর্জির দোকানের কর্মচারী ছিলেন।

রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের পর ওবায়েদুল (৩০) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, প্রেমের প্রস্তাবে রিশা রাজি না হওয়ায় তাকে খুন করেছিলেন তিনি।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on:

সর্বশেষ

img
মাঝে মাঝে ভয় হয়, ভারত-বাংলাদেশ যুদ্ধ লেগে যাবে : দেব Dec 22, 2025
img
বার্সেলোনাকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেল রিয়াল মাদ্রিদ Dec 22, 2025
img
দিল্লির ঢাকা হাইকমিশন থেকে ভিসা দেয়া বন্ধ করল বাংলাদেশ Dec 22, 2025
img
বাচ্চাদের সুস্থ রাখতে খাবারের তালিকায় দুধের সঙ্গে কী মিশিয়ে খাওয়ান শাহিদ-মীরা? Dec 22, 2025
img

রাকসু জিএস

আল্টিমেটাম দিলাম আওয়ামীপন্থিদের, রেগে গেল ছাত্রদল আর বিএনপি Dec 22, 2025
img
এবার নিজের গল্প নিয়ে পর্দায় এলেন মেলানিয়া ট্রাম্প Dec 22, 2025
img
নিজের দল বিলুপ্ত করে নেতাকর্মীদের নিয়ে বিএনপিতে যোগ দিলেন এহসানুল হুদা Dec 22, 2025
img
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ভালো পারফরম্যান্স করবে, আশাবাদী ফাহিম Dec 22, 2025
img
বাংলাদেশের ফিফা র‌্যাংকিং অপরিবর্তিত Dec 22, 2025
img
অভিনেত্রী মৌবনীকে বিয়ের শুভেচ্ছাবার্তা জানালেন নরেন্দ্র মোদি Dec 22, 2025
img
কোন কারণে 'ধুরন্ধর' থেকে তামান্নাকে সরানো হয়? Dec 22, 2025
img
ভোটাধিকার কারও দয়া নয়, এটি আমাদের সাংবিধানিক অধিকার: প্রধান উপদেষ্টা Dec 22, 2025
শব্দদূষণ ঠেকাতে মাঠে নামছে পুলিশ Dec 22, 2025
img
ঢাকা-১৭ আসনে মনোনয়ন ফরম নিলেন তাজনুভা জাবীন Dec 22, 2025
img
'অ্যানিম্যালকে' পেছনে ফেলে ইতিহাসে 'ধুরন্ধর' Dec 22, 2025
img

হাদি হত্যার বিচারে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা Dec 22, 2025
img
চীনে আবিষ্কার হলো এশিয়ার বৃহত্তম স্বর্ণখনি Dec 22, 2025
img
ঢাকা-১২ আসনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেন সাইফুল আলম নীরব Dec 22, 2025
img
তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বিএনপি : মির্জা আব্বাস Dec 22, 2025
img
হাদি হত্যার অভিযুক্ত ফয়সাল একসময় নাটকে অভিনয় করতেন Dec 22, 2025