চট্টগ্রামের খুলশীতে পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হত্যা ও ডাকাতি মামলার এক আসামি নিহত হয়েছে। নিহতের নাম আব্দুল আজিজ ওরফে আইজ্জা।
রোববার গভীর রাতে নগরীর খুলশী থানার নাসিরাবাদ প্রোপার্টিস লিমিটেড নামের আবাসিক এলাকার চার নম্বর সড়কের পশ্চিমে টিলার ওপর গোলাগুলি ওই ঘটনা ঘটে।
পুলিশের দাবি, নিহত আজিজের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা ও একটি ডাকাতি মামলা বিচারাধীন আছে। এছাড়া জননিরাপত্তা আইনের একটি মামলায় ১২ বছর সাজা খাটার পর সে তিন মাস আগে জামিনে মুক্তি পায়।
খুলশী থানার ওসি প্রণব চৌধুরী জানান, গত ১৫ নভেম্বর গরিবুল্লাহ হাউজিং সোসাইটিতে আরিফুল হক নামের একজনের বাসায় জুম্মার নামাজের সময় কয়েকজন ব্যক্তি প্রবেশ করে নারীদের আটকে রেখে স্বর্ণালংকার, দুটি মোবাইল ও টাকা নিয়ে যায়। ওই ঘটনায় খুলশী থানায় একটি মামলা হয়। এ মামলার তদন্তে নেমে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক শাহজালালকে আটক করা হয়। তার বাড়ি কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বারে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে লুট করা স্বর্ণালংকার উদ্ধারে নগরীর পুরাতন গির্জা এলাকার নবরত্ন জুয়োলার্সের মালিক দুর্জয় বণিককে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোহাম্মদ রফিককে (৫২) চন্দনাইশ থেকে আটক করে পুলিশ।
ওসি জানান, পরে রফিকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজিজকে গ্রেপ্তার রোববার রাতে ডেবার পাড় এলাকায় অভিযানে যায় পুলিশ। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে আজিজ ও তার সহকারীরা। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে তারা পিছু হঠলে ঘটনাস্থলে আজিজকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসির দাবি, এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশিয় আগ্নেয়াস্ত্র ও দুই রাউন্ড অব্যবহৃত কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় অস্ত্র আইনে ও একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তার রফিক এবং শাহজালালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক ছিনতাই মামলা আছে বলেও জানান তিনি।
টাইমস/এইচইউ