বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ওই ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত ছিলেন কিনা সেটা জানতে মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে।
শনিবার সকালে উপজেলার ময়দানহাটা ইউনিয়নের দাড়িদহ গ্রামে ওই ব্যক্তি মারা যান। ঘটনার পর ওই এলাকার ১৫টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
জানা গেছে, ওই ব্যক্তি ঢাকার কাশিম বাজারে ব্যবসা করতেন। তার স্ত্রী বেসরকারি সংস্থা টিএমএসএস’এ চাকরি করার কারণে শিবগঞ্জ উপজেলার ময়দানহাটা ইউনিয়নের মহব্বত নন্দীপুর গ্রামে ছেলেকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন। তিনি ঢাকায় অবস্থানকালে ২৪ মার্চ থেকে জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হন। এ অবস্থায় শুক্রবার তিনি শিবগঞ্জে স্ত্রীর বাসায় চলে আসেন। সন্ধ্যার পর তিনি বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছ থেকে ওষুধ কিনে সেবন করেন। শনিবার ভোরে তিনি মারা যান।
মৃত্যুর পর তার স্ত্রী হটলাইনে ফোন করে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শফিক আমিন কাজলকে বিষয়টি জানান। এরপর শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মোরতজা আব্দুল হাই শামীম শনিবার সকাল ১০টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, আমরা ইতোমধ্যে ঢাকায় কথা বলেছি। মৃতদেহ থেকে নমুনা হিসেবে লালা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর’এ পাঠানো হবে।
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর কবীর জানান, করোনা সন্দেহে ওই বাড়িসহ পার্শ্ববর্তী ১৫টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অবস্থান করছেন।
টাইমস/এইচইউ