ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সব দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ নবনির্বাচিত সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন। একই সঙ্গে আগামী দিনগুলোতে প্রতিটি ক্ষেত্রে এ সরকারের সাফল্য কামনা করেছেন। খবর- বাসস।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার নবগঠিত সরকারকে শুভেচ্ছো জানাতে ওআইসিভুক্ত দেশের রাষ্ট্রদূতগণের ১৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সোমবার সন্ধ্যায় গণভবনে গিয়েছিলেন। এ সময় তারা নির্বাচনে জয় এবং টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করায় শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান।
প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দানকারী ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান বলেন, ‘আমরা সব মুসলিম দেশের রাষ্ট্রদূতরা একত্রে গণভবনে এসে আপনার অবিস্মরণীয় বিজয়ে আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী) শুভেচ্ছা জানাতে পারায় গভীর সম্মানিত বোধ করছি।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের শক্তি আসলে সমগ্র মুসলিম উম্মাহর শক্তিকেই চিহ্নিত করে। কাজেই আপনাকে সব রকমের সহযোগিতা প্রদান করা আমাদের প্রত্যেকের এবং সম্মিলিত দায়িত্ব-কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে।
অনুষ্ঠানে কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), মিশর, ইন্দোনেশিয়া, আফগানিস্তান, তুরস্ক, কুয়েত, মরক্কো, মালদ্বীপের রাষ্ট্রদূত এবং ইরাক, ওমান, পাকিস্তান ও সৌদি আরবের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্সরা বক্তৃতা করেন।
রাষ্ট্রদূতরা তাঁদের বক্তৃতায় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয়কে শেখ হাসিনার প্রতি জনগণের বিশ্বাস ও আস্থার প্রতিফলন বলেই উল্লেখ করেন।
তারা বলেন, ‘গত ১০ বছরে আপনি যে কঠোর পরিশ্রম করেছেন তারই ফলশ্রুতিতে এই বিজয়।’
তাদের মতে বাংলাদেশের জনগণ উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করেছে এবং তাঁরা আগামীতে আরও উন্নত নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রত্যাশী।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূতদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ বুঝেছে যে, আমরা তাদের জন্যই কাজ করি। তাই তারা আমাদেরকে ভোট দিয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের জনগণের জীবন-মানের উন্নয়নই আমার লক্ষ্য, যাতে তারা খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসাসেবা, শিক্ষাসহ সব মৌলিক সুবিধাগুলো পেতে পারে। এর জন্যই আমি অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন স্বাগত বক্তৃতা করেন। প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. সাজ্জাদুল হাসান, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
টাইমস/জিএস