করোনা আক্রান্ত জানার পর ঢাকা থেকে রাজশাহী পালিয়ে এসেছেন এক পোশাক শ্রমিক। তার বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পালপুর ধরমপুর গ্রামে। তিনি ঢাকার একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। খবর পেয়ে শুক্রবার তাকে রাজশাহীর করোনা আইসোলেশন ইউনিট খ্রিস্টিয়ান মিশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, ওই ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর জানিয়েছেন তার করোনা পজিটিভ। পরে তাকে রামেক হাসপাতাল থেকে মিশন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শনিবার রামেকের ল্যাবে আবারও তার নমুনা পরীক্ষা করা হবে।
জানা গেছে, করোনার প্রাথমিক উপসর্গ দেখা দেয়ায় ২৭ এপ্রিল ঢাকায় তার নমুনা পরীক্ষা হয়। পরদিন তার করোনা পজিটিভ ফলাফল আসে। ওই দিনই গোপনে অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকা থেকে রাজশাহীতে পালিয়ে আসেন তিনি। এরপর তিনদিন নিজ বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। শুক্রবার সকালে নিজ বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই পোশাককর্মী। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে তাকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে।
গোদাগাড়ীর দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান আক্তার বলেন, করোনা নিয়ে তিনি বাড়ি ফিরে আসায় এলাকায় আতঙ্ক দেখা দেয়। কেউ কেউ বলছেন তিনদিন আগে তিনি গ্রামে এসেছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন শুক্রবার আসার পর গ্রামে না ঢুকে সরাসরি হাসপাতালে গেছেন। কিন্তু সত্যটা কী তা বলতে পারছি না। সকালে ওই ব্যক্তির বাড়ি পুলিশ এবং স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা যান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু তালেব বলেন, আক্রান্ত ওই ব্যক্তির বাড়িতে আমাদের দুই কর্মীকে পাঠানো হয়। পরিবারের সদস্যরা করোনার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি কবে গ্রামে এসেছেন সে বিষয়ে গ্রামবাসী কিছু জানেন না বলে দাবি করছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখব আমরা।
টাইমস/এইচইউ