সুপার সাইক্লোন আম্পানের তাণ্ডবে ঝিনাইদহে গাছ চাপা পড়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও একজন।
জানান গেছে, বুধবার রাত ২ টার দিকে সদর উপজেলার হলিধানী গ্রামে ঘরের পাশে শতবর্ষী একটি বটগাছ উপড়ে ঘরের উপর পড়ে। এতে গাছের নিচে চাপা পড়ে ওই গ্রামের বুদোই মন্ডলের স্ত্রী নাদেরা বেগম মারা যান। পরে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাছ কেটে লাশ ও আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে জেলার ৬ উপজেলায় গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন, ঝড়ে কৃষকের কলাগাছ, পাটক্ষেত, পানের বরজসহ সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়াও নষ্ট হয়েছে আম ও লিচু বাগান। বৃষ্টির কারণে তলিয়ে গেছে পুকুর-ঘাট। ভেসে গেছে মাছ। ভেঙ্গে গেছে ছোট বড় অসংখ্য গাছ, কাচা ও পাকা বাড়ি ঘর। যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে। গ্রামাঞ্চলের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ জানিয়েছেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে চলা সাইক্লোন আম্পানের তাণ্ডবে ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এই মুহূর্তে নিরূপণ করা যাচ্ছে না। ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে সরকারি ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে।
সূত্র জানায়, ঝড়ে এই অঞ্চলের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের চরম ক্ষতি হয়েছে। চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে বিদ্যুৎ গ্রিড গুলো ঝুঁকিতে পড়েছে। বিকেলের দিকে কিছু কিছু এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক ফিরে এসেছে। বিকেল ৫টার পরে জেলা শহরের কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা পুণঃস্থাপন করা হয়েছে। আকাশ এখনো মেঘে ঢেকে আছে। মাঝে মাঝে মৃদু বাতাস বইছে।
এদিকে সরবরাহ লাইনে ত্রুটি থাকার কারণে উৎপাদিত বিদ্যুৎ নিয়ে বিপাকে পড়ে বিদ্যুৎ গ্রিড।
ঝিনাইদহ বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পরিতোষ কুমার জানান, গাছপালা পড়ে বিদ্যুৎ লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ছেড়া তার মেরামত করে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখার চেষ্টা চলছে।
টাইমস/এইচইউ