ময়মনসিংহের ত্রিশালে ভেঙ্গে ফেলার দুই মাসের মাথায় পুনরায় ইট পোড়ানো শুরু করেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রহীন ইট ভাটা ‘হিটলার ব্রিকস’।
এর আগে ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত অবৈধভাবে নির্মিত ওই ইটভাটার একটি অংশ গুঁড়িয়ে দেয়। দুই মাস না পেরোতেই নতুনভাবে সংস্কার করে আবার ইট পোড়ানো শুরু করেছে।
ইট ভাটা মালিক কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই ভাটায় ইট উৎপাদন করছেন। অন্যদিকে প্রশাসনের কর্মকর্তারা এ দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বলছেন এ বিষয়ে তাদের কাছ থেকে কোনও ছাড়পত্র নেওয়া হয়নি।
এর আগে ২০১৮ সালের শুরুর দিকে ত্রিশাল উপজেলার বইলর ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামে ১০ একর কৃষি জমির ওপর ‘হিটলার ব্রিকস’ নামের ওই ইটভাটা গড়ে তোলা হয়। তবে ইট ভাটা নির্মাণ বিষয়ে মালিকপক্ষ কোনো কোন ছাড়পত্র নেয়নি বলে ওই বছরের মার্চে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন তৎকালীন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার পাল। ২০১৩ সালের ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন’ (নিয়ন্ত্রণ) আইনে কৃষি জমিতে ইট ভাটা করার সুযোগ নেই।
ইটভাটা নির্মাণের সময় অনেক জমির মালিকদের সাথে ভাটা কর্তৃপক্ষের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে ভাটার কাজ থেমে থাকেনি। পরে ২০১৮ সালের নভেম্বরে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নূর আলম, সহকারী উপ-পরিচালক সাবিকুন নাহার এবং ত্রিশাল থানা পুলিশ এক অভিযান চালিয়ে ইট ভাটা ভেঙ্গে দেয়।
কিন্তু এক মাস পার না হতেই ভাটা পুনর্নির্মাণ শুরু করে মালিকপক্ষ। ভাঙা অংশ মেরামত করে সেখানে ইট পোড়ানোর কাজ শুরু হয়।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে হিটলার ইটভাটার অন্যতম মালিক বজলুর রহমান সুজন বলেন, ভাটার ভাঙা অংশ সংস্কার করতে ৩৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে তাদের। অনুমোদনের কাগজপত্র এখনও পাইনি তারা, সেটা প্রক্রিয়াধীন আছে।
এ বিষয়ে জেলা পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক নূর আলম বলেন, হিটলার ইটভাটা চালুর ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। তাদেরকে তো কোনও অনুমতি বা ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি।
টাইমস/এসআর/এইচইউ