টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত মেজর (অব.) সিনহা হত্যাকান্ডের তদন্ত প্রতিবেদন সোমবার জমা দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটি। ১৩টি সুপারিশসহ ৮০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন এরই মধ্যে চুড়ান্ত হয়েছে। মূল প্রতিবেদনের সঙ্গে ৫৮৬ পৃষ্ঠার সংযুক্তিও দেয়া হবে বলে জানা গেছে।
শনিবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার হিল ডাউন সার্কিট হাউসে এক সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এসব তথ্য জানান।
এদিকে তদন্ত কমিটির একটি সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, মেজর সিনহা হত্যাকান্ডে অনাকাঙ্খিত অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। গুলি করার মতো পরিবেশ বা পরিস্থিতি তৈরি না হওয়া সত্বেও মেজর সিনহাকে গুলি করা হয়েছে। এমনকি গুলি করার সময়ও মেজর সিনহা আত্মসমর্পন ভঙ্গিতেই ছিলেন, কিন্তু পুলিশের আচরণ ছিল আগ্রাসী ও অমানবিক।
তবে শনিবারের ব্রিফিংয়ে যুগ্ম সচিব মিজানুরর রহমান তিনি বলেন, মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানের নিহতের ঘটনা তদন্তে সংশ্লিষ্ট ৬৮ জনের সঙ্গে কথা বলে তাদের বক্তব্য নেয়া হয়েছে। এসব কথা ও বক্তব্য এবং প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই ও বিশ্লেষণ করে কমিটির সব সদস্য সর্বসম্মতভাবে প্রতিবেদনটি চূড়ান্ত করেছেন। যা সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হবে।
তিনি বলেন, মেজর সিনহা হত্যাকান্ড কেন ঘটেছে, কারা ঘটিয়েছে, নেপথ্য কারণ কী, সব কিছুই তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। মেজর সিনহা হত্যাকান্ডের মত এরকম জঘন্যতম ঘটনা আর যেন না ঘটে, সে লক্ষ্যে ১৩টি সুপারিশও দেয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রতিনিধি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লে. কর্নেল এসএম সাজ্জাদ হোসেন, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর প্রতিনিধি অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক জাকির হোসেন খান ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাজাহান আলী। ২ আগস্ট এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন-
সিনহা হত্যা: জবানবন্দি শেষে কারাগারে পুলিশের মামলার তিন সাক্ষী
মেজর সিনহা হত্যায় জড়িতদের বিচার হতেই হবে: সেনাপ্রধান
চার দফায় ১৫ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে ওসি প্রদীপ
টাইমস/এসএন