ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা থেকে নিখোঁজ ফুল বিক্রেতা শিশু জিনিয়াকে উদ্ধারে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছেন যে ছাত্রটি তার নাম আরাফাত চৌধুরী। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই পুলিশ সূত্র খুঁজে পায় এবং জিনিয়াকে দ্রুত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
জানা গেছে, ১ আগস্ট সকালের দিকে টিএসসি এলাকা থেকে নিখোঁজ হয় শিশু জিনিয়া। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক বিভিন্ন সংগঠন এবং শিক্ষার্থীদের নজরে বিষয়টি এলে শিশু জিনিয়ার খোঁজে অনেকে ব্যাকুল হয়ে উঠে। এরপর কয়েকদিন শাহবাগ থানা পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কাজ করলেও শিশু জিনিয়াকে খুঁজে বের করার ব্যাপারে তেমন কোন অগ্রগতি করতে পারছিল না। অন্য অনেকের মতোই বিষয়টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র আরাফাত চৌধুরীর নজরে আসে। ঘটনার চারদিন পর অর্থাৎ ৫ সেপ্টেম্বর আরাফাত চৌধুরী টিএসসি এলাকায় গিয়ে বিভিন্ন লোকের সাথে কথা বলেন। এদের মধ্যে কেউ শিশু জিনিয়াকে দেখেছে কি না সে বিষয়টি জানার চেষ্টা করেন আরাফাত চৌধুরী। এছাড়া টিএসসি এলাকা ও চারপাশের রাস্তাগুলোতে যত ক্লোস সার্কিট ক্যামেরা আছে সেগুলোও শনাক্ত করেন আরাফাত চৌধুরী।
আরাফাত বলেন, আমি পাঁচ তারিখে টিএসসিতে এসে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সব প্রত্যক্ষদর্শীকে একসাথে করেছি। আমি সবার কাছ থেকে ডিটেইলস নিয়েছি- জিনিয়া কখন কোথায় বসেছে, কোথায় চটপটি খেয়েছে, ওর সাথে যারা কথা বলেছে তারা দেখতে কেমন, তাদের পরনে কী ছিল ইত্যাদি। এসব তথ্য জোগাড় করে আরাফাত চৌধুরী নিজে উদ্যোগী হয়ে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে যান এবং তার কাছে থাকা তথ্য পুলিশকে জানান। আরাফাত চৌধুরীর দেয়া তথ্যের সূত্র ধরে পুলিশও আরো তদন্ত করে। এরপর চারদিনের মাথায় জিনিয়াকে নারায়ণগঞ্জ থেকে উদ্ধার করে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
ঢাকার রমনা জোনের পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) এসএম শামীম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আরাফাত চৌধুরী তথ্য দিয়ে সহায়তার কারণে শিশু জিনিয়াকে দ্রুত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন
জিনিয়া অপহরণ : দুই দিনের রিমান্ডে লোপা
টাইমস/জেকে/এইচইউ