গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মাসুদ রানার বাসা থেকে এক ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে গাইবান্ধা শহরের খানকা শরীফ সংলগ্ন নারায়ণপুর এলাকা থেকে এই লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের নাম হাসান আলী (৪৫)। বাড়ি জেলা শহরের থানাপাড়া এলাকায়। আলী শহরের থানাপাড়ার আফজাল সুজের সাবেক স্বত্বাধিকারী ছিলেন।
শনিবার সকালে আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ রানার বাড়ি থেকে ওই ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে জনগণের চাপের মুখে ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে বাড়ি থেকে আটক করতে বাধ্য হয় পুলিশ। তবে পুলিশের ভাষ্য ওই ব্যবসায়ী আত্মহত্যা করেছেন এবং আওয়ামী লীগ নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে।
সদর থানায় দায়েরকৃত গত ৭ মার্চ হাসান আলীর স্ত্রী বিথী বেগমের এক লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, মাসুদ রানা একজন দাদন ব্যবসায়ী। তার কাছ থেকে নেয়া ঋণের টাকার সুদের কিস্তি দিতে না পারায় গত ৬ মার্চ হাসান আলীকে সকাল ৯টায় তার থানাপাড়ার বাসা থেকে তুলে নিয়ে চলে যায় মাসুদ রানা। তাকে আটকে রেখে নানা ধরনের নির্যাতন এবং ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করা হয়। স্বামীকে নানভাবে উদ্ধারের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন স্ত্রী বিথী বেগম।
পরে শনিবার সকালে তার মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ মাসুদ রানার বাড়ি গিয়ে হাসান আলীর লাশ উদ্ধার করে। হাসান আলীর পরিবারের দাবি, তাকে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে শনিবার দুপুরে আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ রানাকে তার বাড়ি থেকে হ্যান্ডকাপ ছাড়া আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় হামলা চালায় স্থানীয় জনতা। পরে হ্যান্ডকাপ ও হেলমেট পরিয়ে তাকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এব্যাপারে শনিবার বিকেল পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি।
এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি মাহফুজুর রহমান জানান, এটি একটি আত্মহত্যার ঘটনা। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাসুদ রানাকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, আত্মহত্যা করলে নিজ বাড়িতে করবে। মাসুদ রানার বাড়িতে কেন?
টাইমস/এসজে