নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় মেঘনা নদীর তীব্র ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা, ফসলি জমি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সব হারিয়ে খোলা আকাশের নীচে আশ্রয় নিয়েছে অনেক পরিবার।
ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হয়েছে ২৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৯টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৪টি মাদ্রাসা ও ২০টি সাইক্লোন সেন্টার। এ ছাড়াও বিলীন হয়েছে নদীর আশেপাশে থাকা জমি ও বসতভিটা। প্রতিবছর প্রত্যক্ষভাবে নদী ভাঙনের ক্ষতির শিকার হয় ৫ শতাধিক মানুষ।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এখন ব্যবস্থা না নেওয়া হলে বর্ষা মৌসুমে ভাঙ্গনে হুমকির মুখে পড়বে এলাকার মানুষের জীবন-জীবিকা। এ সময় তাদের হারাতে হবে সর্বস্ব। ফলে তাদের মধ্যে কাজ করছে তীব্র আতঙ্ক। কেউ কেউ বসতবাড়ি হারিয়ে কাটাচ্ছে মানবেতর জীবন।
সম্প্রতি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম হাতিয়ার ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। সেতুমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ভাঙনরোধে ১৫ই ফেব্রুয়ারিতে ব্লক ফেলার কাজ শুরু হবে।
হাতিয়া ১৯ টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত। এখানের জনসংখ্যা ৬ লাখ। হাতিয়ার আয়তন ২ হাজার ১শ’ বর্গ কিলোমিটার।
টাইমস/এসআর/এইচইউ