ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে এলাকাবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় বিজিবির গুলিতে ৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বিজিবিসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে হরিপুর উপজেলার বহরমপুর সীমান্তবর্তী এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। বিজিবির দাবি নিহতরা সবাই চোরাকারবারি।
নিহতরা হলেন, হরিপুর উপজেলার রুহিয়া এলাকার নজরুলের ছেলে নবাব (৩৫), বহরমপুর এলাকার নুর ইসলামের ছেলে জয়নুল (১২) ও আব্দুর রহিমের ছেলে সাদেকুল (৩২)।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, বহরমপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে গরু চোরাকারবারিরা ভারত থেকে গরু আনে। ওই গরু উদ্ধারে বিজিবি সদস্যরা অভিযানে যায়। এসময় চোরাকারবারিরা বিজিবির ওপর অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। বিজিবি সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়।
ঠাকুরগাঁও জেলার পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান জানান, বিজিবির সদস্যরা চোরাই গরু উদ্ধার করতে গেলে চোরকারবারীরা বাধা দেয়। এসময় আশপাশের লোকজনও তাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে বিজিবি সদস্যদের ঘেরাও করে রাখে। পরে বিজিবি সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়। এতে দুই পথচারীসহ তিনজন নিহত হন।
গ্রামবাসীরা জানান, বিজিবির সদস্যরা কৃষকের বাড়ি থেকে গরু নিয়ে যাচ্ছিল। এসময় স্থানীয়রা এতে বাধা দেয়। বিজিবি গুলি ছোড়লে গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে তিনজন নিহত হন।
হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুস সামাদ বলেন, গুলিবিদ্ধ ১৫ জনের শরীর থেকে গুলি বের করে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের দিনাজপুর আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল তুহিন মো. মাসুদ বলেন, বিজিবির একটি পেট্রল টিম চারটি গরু সিজ করে ফেরার পথে চোরাকারবারিরা এলাকাবাসীকে নিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ বিজিবির ওপর হামলা করে। তাদের অনুরোধ করা হলেও কোনো কথা শুনেনি। একপর্যায়ে তারা উত্তেজিত হয়ে বিজিবির অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় চারজন বিজিবি সদস্য আহত হওয়ার পর কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করা হয়। এতেও পরিস্থিতি শান্ত না হওয়ায় বাধ্য হয়ে বিজিবি গুলি ছোড়ে।
টাইমস/এইচইউ