চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডের পর কেমিক্যাল কারখানা নিয়ে নিজের দায় এড়াতেই সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া তার ওপর দায় চাপাচ্ছেন বলে দাবি করেছেন সাবেক আরেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
এর আগে শনিবার ১৪ দলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডস্থল পরিদর্শনে গিয়ে দিলীপ বড়ুয়া এই ঘটনার জন্য তার পরবর্তী শিল্পমন্ত্রী আমুকে দোষারোপ করেছিলেন।
আর ২০১৪ সালের সরকারে শিল্পমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমু।
দিলীপ বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের যে শিল্পমন্ত্রী (আমু) ছিলেন, উনি যদি সিরিয়াসলি কেমিকেল গোডাউন ও কারখানা সরানোর বিষয়টি টেকআপ করে নিতেন, তাহলে হয়ত এতদিনে পুরান ঢাকার কেমিকেল গোডাউন রিলোকেট করা সহজ হত।’
এর জবাবে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই না পাওয়া আমু বলেন, ‘কোনো প্রশ্নের সম্মুখীন যাতে না হতে হয়, সে জন্য এডভান্স এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন উনি।’
তিনি বলেন, আজ পর্যন্ত যে দল একটা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন করতে সাহস পায় না, তারা কিসের আলোচনায় আসবে? একটা ইউনিয়ন পরিষদে সদস্য দেওয়ার মতো ক্ষমতা নেই, তারা কিসের আলোচনায় আসবে?
গত ৫ বছর মন্ত্রী থাকাকালে পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিকের গুদাম সরাতে কী উদ্যোগ নিয়েছিলেন- জানতে চাইলে আমু বলেন, “নির্বাহী মিটিংয়ে বিসিকের চেয়ারম্যানের অধীনে একটা কমিটি হয়, সেখানে তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
‘জায়গাও নির্ধারণের জন্য একটা অবস্থা আমি এসে পেয়েছিলাম। তারপর থেকে জায়গা নির্ধারণ চেষ্টা, সমঝোতার করার চেষ্টা করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে ৫০ একর জায়গা নির্ধারণ করে বিসিকে পাসও করা হয়েছিল। তারা (মালিক পক্ষ) রাজি হয় নি, স্বাক্ষর দেয়নি। তারা সমঝোতায় আসেনি। তারা কোনো প্লটে যেতে চায় না।’
পুরান ঢাকার রাসায়নিকের কারখানা কিংবা গুদাম শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে নয় বলেও জানান আমু।
তিনি বলেন, ‘এগুলো শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে কোনো শিল্প না। বাংলাদেশে কয়েকটা ফার্টিলাইজার ও সরকারী কারখানা আছে, যা শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে।’
টাইমস/জেডটি