বিশিষ্ট সাংবাদিক ও প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক মো. শাহ আলমগীর আর নেই ( ইন্না লিল্লাহি ওয়া.....)। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তার পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে খবরের সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে।
রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়া, ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন শাহ আলমগীর। ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। ২২ ফেব্রুয়ারি আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
শাহ আলমগীর ২০১৩ সালের ৭ জুলাই পিআইবির মহাপরিচালক হিসেবে যোগ দেন। সরকার ২০১৮ সালের জুলাই মাসে তার চাকরির মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ায়।
উপমহাদেশের প্রথম শিশু-কিশোর পত্রিকা সাপ্তাহিক কিশোর বাংলা পত্রিকায় যোগ দেয়ার মাধ্যমে তিনি সাংবাদিকতা শুরু করেন। এখানে তিনি ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত সহ-সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন। এরপর তিনি দৈনিক জনতা, বাংলার বাণী, আজাদ, সংবাদ ও প্রথম আলোর বিভিন্ন বিভাগে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি চ্যানেল আইয়ের প্রধান বার্তা সম্পাদক, একুশে টেলিভিশনে হেড অব নিউজ, যমুনা টেলিভিশনে পরিচালক (বার্তা) এবং মাছরাঙা টেলিভিশনে বার্তা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
শাহ আলমগীর ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ‘কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ সাহিত্য পুরস্কার ২০০৬, ‘চন্দ্রাবতী স্বর্ণপদক-২০০৫, রোটারি ঢাকা সাউথ ভোকেশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০০৪ এবং কুমিল্লা যুব সমিতি অ্যাওয়ার্ড-২০০৪ পেয়েছেন।
শাহ আলমগীরের পৈতৃক বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে হলেও বাবার চাকরি সূত্রে জীবনের বড় একটি সময় বৃহত্তর ময়মনসিংহে কাটে তার। ময়মনসিংহের গৌরীপুর কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখান থেকেই বাংলা সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন তিনি।
পারিবারিক জীবনে শাহ আলমগীর এক পুত্র ও কন্যা সন্তানের জনক।
টাইমস/জিএস