কক্সবাজারের টেকনাফে শুক্রবার ভোরে পৃথক স্থানে পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে চারজন নিহত হয়েছে। টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের বরতলী এলাকায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে দুইজন। এছাড়া টেকনাফের নাজিরপাড়া মগপাড়া এলাকায় বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে আরও দুইজন। নিহতরা সবাই মাদক ব্যবসায়ী বলে জানিয়েছে বিজিবি ও পুলিশ।
পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত দুইজন হলেন নজির আহমদ ও গিয়াস উদ্দিন। পুলিশ জানায়, নিহত নজির টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার আবদুল জলিলের ছেলে। তিনি ডাকাত আবদুল হাকিম ডাকাতের ছোট ভাই। আর গিয়াস উদ্দিন হোয়াইক্যং নয়াপাড়ার হাজি জাকারিয়ার ছেলে।
এছাড়া বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তারা হলেন- এসআই সুজিত চন্দ্র দে, এএসআই খায়রুল, কনস্টেবল এরসাদুল ও বেলাল উদ্দিন।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানায়, হোয়াইক্যংয়ের বরতলী এলাকায় ইয়াবা বেচাকেনা হচ্ছে এমন গোপন খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে মাদক ব্যবসায়ীরা। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পরে মাদক ব্যবসায়ীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে ওই দুই জনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে ৩টি দেশীয় অস্ত্র, ৪ রাউন্ড কার্তুজ, ২৩টি গুলির খোসা ও ৬ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি প্রদীপ কুমার দাশ আরও বলেন, ‘লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।’
টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আছাদুদ জামান চৌধুরী জানান, শুক্রবার ভোরে টেকনাফের নাজিরপাড়া মগপাড়া এলাকায় ইয়াবা পাচারের খবর পেয়ে টেকনাফ-২ বিজিবির একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় মাদক ব্যবসায়ীরা। বিজিবিও এ সময় পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে দুটি গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে লাশ দুটি পরিচয় পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে এক লাখ পিস ইয়াবা ও একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
টাইমস/এসআর/জিএস