নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে উগ্র ডানপন্থির হামলায় নিহত বাংলাদেশির সংখ্যা তিন নয় দু’জন বলে নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
শনিবার ঢাকায় কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ডি ক্যাবের এক অনুষ্ঠানে তিনি সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদে স্থানীয় সময় বেলা দেড়টার দিকে জুমার নামাজ আদায়রত মুসল্লিদের ওপর স্বয়ংক্রিয় রাইফেল নিয়ে হামলা চালান ব্রেন্টন টারান্ট। অল্পের জন্য ওই হামলা থেকে বেঁচে যান বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরা। কাছাকাছি লিনউড মসজিদে দ্বিতীয় দফায় হামলা চালানো হয়। দুই মসজিদে হামলায় নিহত ৪৯ জন। এর মধ্যে আল নূর মসজিদে ৪১ জন ও লিনউড মসজিদে সাতজন নিহত হন। একজন হাসপাতালে মারা যান। আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ৪০ জন। এর মধ্যে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
নিহতদের মধ্যে তিনজন বাংলাদেশি বলে শুক্রবার জানিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে বাংলাদেশের অনারারি কনসাল শফিকুর রহমান ভূঁইয়া।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার বলেন, তখন তাৎক্ষণিকভাবে প্রবাসী বিভিন্ন জনের কথার সূত্র ধরে ওই তথ্য দেওয়া হয়েছিল, এখন দুজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।
মিসেস সামাদ নামে যাকে নিহত ভাবা হয়েছিল, তাকে পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি। নিহত বাংলাদেশিদের পরিবার ও আহতদের খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি তাদের সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে অকল্যান্ডে বাংলাদেশের অনারারি কনসাল জেনারেল শফিকুর রহমান ও অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ হাই কমিশনের দুজন কর্মকতা ক্রাইস্টচার্চে গেছেন।
শাহরিয়ার বলেন, এই ঘটনার পর থেকে তিনজন বাংলাদেশি নিখোঁজ রয়েছেন। হাসপাতালে আহত অবস্থায় রয়েছেন আরও পাঁচজন।
নিখোঁজরা হলেন- মোজাম্মেল হক, জাকারিয়া ভূঁইয়া ও শাওন।
হাসপাতালে ভর্তি আছেন লিপি, মুনতাসীম, শেখ হাসান রুবেল, শাহজাদা আক্তার ও ওমর ফারুক। এদের মধ্যে লিপি ও মুনতাসীমের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
প্রবাসীদের তথ্য অনুযায়ী, ক্রাইস্টচার্চে প্রবাসী বাংলাদেশির সংখ্যা সব মিলিয়ে পাঁচশ’র বেশি হবে না। যে কোনো তথ্য বা সাহায্যের জন্য অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাই কমিশনে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে সবাইকে।
জরুরি যোগাযোগের জন্য +৬১ ৪২৪ ৪৭২৫৪৪ এবং +৬১ ৪৫০১ ৭৩০৩৫ নম্বরে ফোন করতে বলা হয়েছে হাই কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে।
টাইমস/এসআই