চট্টগ্রামে বাসচালককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা

চট্টগ্রামে ডিবি পরিচয়ে বাস চালককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার বিকালে নিহত জামাল উদ্দিনের ছোট ভাই জুয়েল হোসেন কর্ণফুলী থানায় মামলাটি দায়ের করেন বলে জানিয়েছেন ওসি আলমগীর মাহমুদ।

ওসি আলমগীর মাহমুদ বলেন, নির্দিষ্ট কারও নাম উল্লেখ না করে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে মামলায়।

এদিকে চালককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ও সংশ্লিষ্ট ১৯ রুট এবং চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কসহ সংশ্লিষ্ট ৬৮টি রুটে এ ধর্মঘট ডেকেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটি।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ মুসা বলেন, সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা গাজীপুরমুখী শ্যামলী পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস চট্টগ্রামের পটিয়া থানাধীন শান্তিরহাট এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল। ওয়াই জংশনের কাছাকাছি এলে একটি মাইক্রোবাসে সাদাপোশাকে থাকা একদল লোক নিজেদের ডিবি (গোয়েন্দা শাখা) পুলিশ পরিচয় দিয়ে বাসটি থামায়।

মুসা বলেন, ইয়াবা আছে বলে তারা চালককে হাতকড়া পরিয়ে নিচে নামায়। ৫০ থেকে ৫৫ গজ দূরে নিয়ে চালক জালাল উদ্দিনকে বেদম মারধর করে। এরপর তাকে গাড়িতে ওঠায়। তারা সবকিছু তল্লাশি করে কিছু পায়নি। আবার ওই চালককে বাস থেকে নামিয়ে বেদম মারধর করা হয়। এতে চালক জালাল উদ্দিন অজ্ঞান হয়ে গেলে বাসে তুলে দেওয়া হয়। আহত ও চালককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

শ্রমিক নেতা মুসা বলেন, গোয়েন্দা পুলিশের পরিচয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। তাদের হাতে ওয়াকিটকি ও অস্ত্র ছিল। জালাল হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে আমরা ধর্মঘট ডেকেছি।

চট্টগ্রাম গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (বন্দর) এস এম মোস্তাইন হোসাইন বলেন, এটা নৃশংস ঘটনা। খবর পাওয়ার পর কর্ণফুলী ও পটিয়া থানার পুলিশের সঙ্গে নগর গোয়েন্দা পুলিশের যৌথ দল তদন্ত শুরু করেছে। আমরা আশাবাদী, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা আইনের আওতায় আসবে।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: