রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যান থেকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরসহ জাতীয় সংসদের মূল নকশার বাইরে যেসব স্থাপনা রয়েছে, তা অপসারণ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
শনিবার সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় সংসদ চত্বরে মূল নকশার বাইরে জিয়ার কবরসহ আরও কিছু কবর দেয়া হয়েছে। সেগুলো অপসারণের অনুরোধ করছি।’
জাতীয় সংসদ চত্বর থেকে জিয়াউর রহমানের কবরসহ লুই আই কানের নকশা বহির্ভূত স্থাপনা সরানোর বিষয়ে গত নবম ও দশম জাতীয় সংসদের একাধিক বৈঠকে কথা ওঠে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে লুই কানের মূল নকশা সংগ্রহ করতে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয় উদ্যোগী হয়।
আড়াই বছর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে নকশা আনা হয়। তবে এখন পর্যন্ত নকশা বহির্ভূত কোনো স্থাপনা সরানোর কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।
বাজেট আলোচনায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে জিয়া ও তার তাবেদাররা সকলে মিলে যে অর্থনৈতিক কর্মসূচি- বাকশালকে গালিতে পরিণত করেছিল। বস্তুত বাকশালের মাধ্যমে কোনো রাজনৈতিক দলকে বন্ধ করা হয়নি। রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করে জাতীয় দল গঠন করা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগকেও তখন স্থগিত করা হয়েছিল। বাঙালির মুক্তি ও শোষিতের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য যে কর্মসূচি দেয়া হয়েছিল বাংলার মানুষের মুক্তি আসতে পারে না। তা বিগত দিনে প্রমাণিত হয়েছে। আজকের প্রধানমন্ত্রী সেই অর্থনীতিতে পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
টাইমস/এসআই