২০৫০ সালের পর বাংলাদেশে মানুষের সংখ্যা কমতে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন নাসার জ্যোতির্বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. দীপেন ভট্টাচার্য্য।
তিনি বলেন, জ্যোতির্বিজ্ঞান বুঝতে হলে বায়ুমণ্ডলের উপরে যেতে হবে। বিভিন্ন নক্ষত্রের পতন থেকে আমরা মূল্যবান খনিজ পদার্থ পেয়েছি। বিজ্ঞান কোন সময় থেমে থাকে না। আমরা বিভিন্ন গ্রহে প্রাণের অনুসন্ধান করছি। এখনও পাওয়া যায়নি। তবে কোথাও থাকতে পারে। এক সময় হয়তো সেখানে মানব বসতিও গড়ে উঠতে পারে। পৃথিবীতে বর্তমানে মানুষ আছে ৮ বিলিয়ন। এটি বেড়ে হতে পারে ১২/১৩ বিলিয়ন। তবে এক সময় ঠিকই কমে তা ৫ বিলিয়নের আশেপাশে থাকবে। বাংলাদেশেও ২০৫০ সালের পর মানুষ কমতে থাকবে।
শনিবার হবিগঞ্জ টাউন হলে ‘আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের টুকিটাকি’ বিষয়ক বক্তৃতা এবং বিজ্ঞান বিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠানে ড. দীপেন আরও বলেন, দেশে যারা শিক্ষা নিয়ে গবেষণা এবং কাজ করছেন তাদের অনেক সক্ষমতা আছে। তাদেরকে কাজে লাগাতে হবে। ড. দীপেন ভট্টাচার্য্য প্রায় ৩ ঘণ্টা একক বক্তৃতা এবং বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ, খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার ও তারুণ্য সোসাইটি। বাপা সভাপতি প্রফেসর ইকরামুল ওয়াদুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সমাজের বিভিন্ন স্থরের ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, প্রফেসর ড. দীপেন ভট্টাচার্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নাসার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট ইনস্টিটিউটের গবেষক ছিলেন। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার রিভারসাইড ক্যাম্পাসে (ইউসিআর) গামা রশ্মি জ্যোতির্বিদ হিসেবে ২০ বছর কাজ করেছেন। বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ার মরেনো ভ্যালি কলেজে পদার্থবিদ্যার প্রফেসর তিনি।
টাইমস/এইচইউ