প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা সিইসি কেএম নূরুল হুদার পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে একজন নির্দলীয় নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে অনতিবিলম্বে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিয়োগ করার জন্যেও রাষ্ট্রপতির কাছে দাবি জানাচ্ছি।’
মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপাসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশন থাকলে নির্বাচনের ন্যূনতম সুষ্ঠু পরিবেশও থাকবে না। আমরা এই নির্লজ্জ, অকার্যকর ও অযোগ্য কমিশনের পদত্যাগ চাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটা কোনও নির্বাচন হচ্ছে না। রক্তের হলি খেলা হচ্ছে। প্রত্যেক জায়গায় আমাদের প্রার্থী ও কর্মীদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। দেখেন, আজকে আমাদের প্রার্থী গয়েশ্বর চন্দ্রকে কীভাবে রক্তাক্ত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, নারী প্রার্থীরাও বাঁচতে পারছে না।’
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলামের লিখিত বিবৃতি পড়েন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, মঙ্গলবার বেলা ১২টায় ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা প্রধান কমিশনারসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার ও সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সেসময় সারাদেশে বিরোধী দলীয় প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকদের ওপর সরকার দলীয় সন্ত্রাসী ও পুলিশের হামলা এবং হাজার হাজার নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে। নির্বাচনকালীন প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালনায় ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের যারা দলীয় কর্মীর মতো আচরণ করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। কিন্তু প্রধান নির্বাচন কমিশনার ক্ষমতাসীন দলের নেতার ভাষায় অভিযোগগুলো অস্বীকার করে পক্ষপাতদুষ্ট ও অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দিলে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা হতাশ ও বিস্মিত হন।’
আগে দুপুরে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে চলমান বৈঠক বর্জন করে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বেরিয়ে আসেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। ওই দুপুরে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে তুমুল উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। উত্ত্যপ্ত বাক্যবিনিময় হয় দুপক্ষে। একপর্যায়ে সভাশেষ না করেই সংক্ষুব্ধ হয়ে বেরিয়ে যান ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনসহ অন্যরা।
টাইমস/জিএস