অনূর্ধ্ব-১৯ যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে চারটি শিরোপা জয়ী ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের দেয়া ১৭৮ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলতে থাকা বাংলাদেশ ৪২.১ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে জয় নিয়ে ইতিহাস গড়লো আকবর বাহিনী। যেকোনো স্তরের ক্রিকেটে কোনো বিশ্বকাপ জেতা বাংলাদেশের জন্যে এটাই প্রথম। তাছাড়া ১৯৯৭ সালের পর এই প্রথম ক্রিকেটের কোনো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের ট্রফি জিতলো বাংলাদেশ।
রোববার দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে ভারতের দেয়া ১৭৮ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে দলীয় ৫০ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ শিবির। ৮.৫ ওভারের মাথায় ব্যক্তিগত ১৭ রান করে রবি বিষ্ণুর শিকার হন তামিম। তামিমের বিদায়ের পর মাহমুদুল হাসান জয়কে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন ওপেনিংয়ে নামা ইমন। তবে তাকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি মাহমুদুল হাসান জয়। ১২.৫ ওভারের মাথায় রবি বিষ্ণুর দ্বিতীয় শিকার হয়ে ব্যক্তিগত মাত্র ৮ রান করে মাঠ ছাড়েন তিনি। উদ্বোধনে নামা ইমন মাথায় আঘাত পেলে ক্রিজে আসেন তৌহিদ হৃদয়।
রবি বিষ্ণুর লেগ স্ট্যাম্পের বাইরে থাকা বল পায়ে আঘাত লাগলে আম্পায়ার হৃদয়কে আউট হওয়ার সিগনাল দেন। ফলে বিষ্ণুর তৃতীয় শিকায় হয়ে ০ রানেই মাঠ ছাড়তে হয় হৃদয়কে। তবে বাংলাদেশ শিবিরে বড় ধাক্কাটা আসে ১৬.১ ওভারের মাথায়। দলীয় ৬৫ রানের মাথায় রবি বিষ্ণুর বলে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ে শাহাদাত হোসেনও ফেরেন মাত্র ১ রান করে।
বিপর্যয় এড়াতে শামীম হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে অধিনায়ক আকবর আলী বাংলাদেশের ইনিংস বড় করার লক্ষ্যে ব্যাট করতে থাকেন। কিন্তু সুশান্ত মিশ্রর বলে ক্যাচ দিয়ে ৭ রানেই মাঠ ছাড়েন শামীম। এরপর ধীর গতিতে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ শিবিরে মিশ্রর দ্বিতীয় শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন অভিষেক দাস। তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৫ রান। ১০২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
এরপরই মাঠে নামেন বিশ্রামে যাওয়া ইমন। এই জুটি বাংলাদেশকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। দলীয় ১৪৩ রানের মাথায় ৪৭ রানে বোলার জয়শোওয়ালের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন ইমন। আকবর-ইমনের জুটি থেকে আসে ৪১ রান। তার আউটের পর আবারও জয়ের শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ।
পরে রকিবুল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে ফের হাল ধরেন আকবর আলি। এই জুটি থেকে আসে ২৭ রান। জয় থেকে মাত্র ১৫ রান দুরে থাকলে বৃষ্টির হানায় খেলা সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সে সময় বৃষ্টি আইনে ১৬ রান এগিয়ে বাংলাদেশ।
খেলা আর শুরু না হলে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন—এমন একটা সমীকরণ মাথায় নিয়েই ড্রেসিং রুমে ফিরল বাংলাদেশ। কিন্তু বৃষ্টি থেমে গেল দ্রুতই। এবার নতুন লক্ষ্য ৩০ বলে ৭। বৃষ্টি শেষে মাঠে নেমে আকবর আর রকিবুল তেমন সময়ই নিলেন না। বাংলাদেশকে পৌঁছে দিলেন বিশ্বজয়ের মঞ্চে।
টাইমস/জিএস